২ হাজার ৬০০ বছর আগে ডুবে যাওয়া এক জাহাজের ধ্বংসস্তূপ থেকে দুর্লভ ধাতুর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।
ইটালির সিসিলি’র সাগরতীর থেকে ১ হাজার ফুট দূরে প্রায় ১০ ফুট পানির গভীরে পাওয়া গিয়েছে জাহাজটি।
ইটালির প্রত্নতত্ত্ববিদ সেবাস্টিনো তুসা এই জাহাজেপ্রাপ্ত ধাতুটিকে দুর্লভ ও প্রাচীন ধাতু ‘অরিশালকাম’ বলে মনে করছেন।
প্রাচীন গ্রীকরা বিশ্বাস করতো, এই ধাতু হারিয়ে যাওয়া শহর আটলান্টিসে পাওয়া যেতো। রোমানরাও এই ধাতুর কথা জানতো এবং তারা এটাকে বলত ‘তামা-সোনা’।
তবে গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে জাহাজে খুঁজে পাওয়া ধাতুটি তামা ও দস্তার সংমিশ্রণ এবং এতে স্বল্প পরিমাণে লোহা, সীসা এবং নিকেলের মিশ্রণ রয়েছে। এই ধাতু প্রাচীন গ্রীসে বিভিন্ন সরঞ্জামাদি তৈরির কাজে ব্যবহার করা হত।
ধারণা করা হচ্ছে, ২ হাজার ৬০০ বছর আগে জাহাজটিতে করে এই ধাতু এবং অন্যান্য মালামাল বহন করা হচ্ছিলো এবং ঝড়ের কবলে পড়ে জাহাজটি ডুবে যায়।
অরিশালকাম-এর সব উপাদান এবং উৎস সম্পর্কে এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে অনেকে এটিকে অ্যাম্বার (অলংকারে ব্যবহৃত এক প্রকার স্বচ্ছ হলুদাভ বাদামী পাথর) বা তামার মিশ্রণ বললেও বেশিরভাগই মনে করছেন এটি পিতলের সংকর।
এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ ভিন্নমত জানিয়েছেন, খনিজবিজ্ঞান বিশেষজ্ঞ এবং পদার্থবিজ্ঞানের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. এনরিকো মেটিভিচ।
তিনি বলেন, অরিশালকাম ব্যবহার করতো প্রাচীন পেরুর বাসিন্দারা। আন্দিজের পাদদেশে বসবাসকারী এসব মানুষেরা ধাতুর কাজে অনেক উন্নত ছিল।
তিনি আরও বলেন, সেবাস্টিনো তুসা যে ধাতু খুঁজে পেয়েছেন এটি অরিশালকাম নয় বরং তামা, দস্তা এবং সীসার একটি সাধারণ মিশ্রণ।