শিংওয়ালা পেঁচা

যদিও নামে Great horned owl বা শিংওয়ালা পেঁচা তবে সত্যিকারে এদের কোন শিং নেই। এই পেঁচার মাথার উপর দুপাশে পালকের গোছা শিঙয়ের আকৃতি ধারণ করেছে।

তবে ঠিক কী কারনে এই পালকের গোছা শিঙের আকৃতি ধারণ করেছে আর এটির কাজই বা কি তা এখনো বিজ্ঞানীদের অজানা।

অবশ্য তারা এ বিষয়ে কিছু ধারণা দাঁড় করিয়েছেন। হতে পারে বনের এতো পশুপাখির মধ্যে নিজেদের আলাদা করে চেনার জন্যই এরকম শিং গজিয়েছে।

অথবা চারপাশের প্রকৃতির সাথে সহজে মিলেমিশে যাওয়ার জন্য হয়েছে এরকমটা যাতে অন্যান্য শিকারিরা তাদের খাবার না ভেবে গাছের ডাল ভেবে ভুল করে।

Great horned owl উত্তর আমেরিকার প্রায় সর্বত্রই দেখতে পাওয়া যায়। বন, মরুভূমি, জলাভূমি, তুন্দ্রা অঞ্চল, চিরহরিৎ বন, শহর, গ্রাম বা পার্ক সবজায়গাতেই দেখা মেলে এদের।

উত্তর আমেরিকায় বসবাসকারীরা এই পেঁচার গম্ভীর, নরম এবং ভাঙা ভাঙা (অনেকটা তোতলানোর মত) ডাক শুনতে অভ্যস্ত।

এরা হুউ-হ-হুউ-হুউ শব্দে ডেকে থাকে। পেঁচা তার ডাকের মাধ্যমে তার বিচরণকারী অঞ্চলটুকু নির্দেশ করে দেয়। এই ডাক ছাড়াও এরা আরও বিচিত্র রকম শব্দ করতে পারে যেমন বাঁশির মত, ঘেউ ঘেউ, কুউউ, হিসস বা কান্নার মত শব্দ।

পেঁচার ডাক সাধারণত রাতে শোনা যায় কারণ এরা নিশাচর প্রাণী। এদের বড় বড় চোখ আর চওড়া চোখের মণি থাকার কারণে সহজেই এরা শিকার দেখতে পারে।

ছোট তবে চওড়া ডানার কারণে এরা বনের ভেতরে সহজে উড়তে পারে। এদের নরম পালক নিঃশব্দে শিকার ধরতে সাহায্য করে।

Great horned owl বিভিন্ন রকম জিনিস শিকার করে খায়। ছোটখাটো ইঁদুর, কাঠবিড়ালি জাতীয় প্রাণী থেকে স্কাঙ্ক (উত্তর আমেরিকার ভোঁদড়জাতীয় প্রাণীবিশেষ) বা হাঁস খেয়ে থাকে। অন্যান্য পেঁচার মতই এরা শিকারকে পুরোপুরি গিলে ফেলে এবং পরবর্তীতে হাড়, পালক আর অন্যান্য অপ্রয়োজনীয় জিনিস পেট থেকে উগরে দেয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম লিখুন