বিজ্ঞানীদের একটি আন্তর্জাতিক দল জানিয়েছেন আমাদের মহাবিশ্ব খুবই ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। নভোচারী জোসেন লিস্কে জানান, ইউরোপিয়ান সাউদারন অবজারভেটরির একদল গবেষকের এই মন্তব্য আংশিক হলেও সত্যি।
তিনি বলেন, যেসব তারা মহাবিশ্বে আলো ছড়াচ্ছে সেগুলোর সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। আলো ছড়ানোর জন্য তারার জ্বালানী প্রয়োজন যেগুলো পুড়িয়ে তারা আলো তৈরি করে। মূলত তারার কেন্দ্রে নিউক্লিয়ার ফিউশন বিক্রিয়া ঘটে যা আলো তৈরি করে আর এ ফিউশনের জন্যই জ্বালানীর প্রয়োজন।
কিন্তু দেখা যাচ্ছে মহাবিশ্বে এই জ্বালানীর পরিমাণ ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে যার কারণে মহাবিশ্বে মোট তারার সংখ্যাও কমে যাচ্ছে। অর্থাৎ তারারা যে আলো সৃষ্টি করে তার পরিমাণও দিন দিন কমে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের আলোকিত মহাজগৎ ক্রমান্বয়ে অন্ধকার হতেই থাকবে এবং অবশেষে নিকষ কালো অন্ধকারে পতিত হবে।
কিন্তু এই ঘটনা ঘটতে ঠিক কতদিন বা কত বছর লাগবে তা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। এখানেই গবেষণার দুর্বলতা। আসলে মহাবিশ্ব এতো ধীরে ধীরে মারা যাচ্ছে যে ঠিক কতটা সময়ে এটা সম্পূর্ণ মারা যাবে তা বলা খুবই কঠিন। আর এই মারা যাওয়ার ঘটনাও কিন্তু ঘটছে বিলিয়ন বিলিয়ন বছর ধরে।
যদি কেউ গত ১০ বিলিয়ন বছর ধরে আমাদের বর্তমান প্রযুক্তি নিয়ে মহাবিশ্বের দিকে তাকিয়ে থাকে তাতেও সে খুব সামান্য পরিবর্তন দেখতে পারবে। বড়জোর খুবই সামান্য অন্ধকার হয়েছে এমনটা চোখে পড়বে।
কিন্তু মহাবিশ্ব আসলেই অন্ধকার হয়ে পড়ছে। এর মানে যে আমাদের চারপাশের ছায়াপথগুলো আর থাকবে না তা কিন্তু নয়। ছায়াপথ থাকবে ঠিকই, কিন্তু সেগুলো সব মৃত তারায় ভরা থাকবে।
সুতরাং এখনই এতো আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আমাদের মহাজগৎ ধ্বংস হয়ে এমনটা না বলে আমরা বরং বলতে পারি আমাদের মহাবিশ্ব পরিবর্তিত হচ্ছে যেখানে জীবিত এবং মৃত তারার সংখ্যা ক্রমাগত পরিবর্তিত হচ্ছে।