জার্মানির রাজধানী বার্লিনে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে নামার আগে বার্সেলোনা ও জুভেন্টাস দুই দলের সামনেই ছিল ট্রেবল জয়ের হাতছানি।
তবে হাসল বার্সেলোনাই শেষ হাসি। জুভদের কাঁদিয়ে ২০০৯ সালের পর আবারো ট্রেবল জিতল তারা। এক মৌসুমে ঘরোয়া লিগ, কাপ আর চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার এই রেকর্ডটি ইউরোপীয় ফুটবলে সপ্তম ঘটনা। এর মধ্যে বার্সাই সর্বাধিক দুইবার স্বাদ পেয়েছে এই দুর্লভ রেকর্ডের ।
জুভেন্টাসকে ৩-১ গোলে হারিয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে এটি বার্সেলোনার পঞ্চম শিরোপা। বার্সেলোনার পক্ষে একটি করে গোল করেন ইভান রাকিতিচ, লুইস সুয়ারেস ও নেইমার। জুভেন্টাসের গোলটি আসে আলভারো মোরাতার পা থেকে।
গত মৌসুম শিরোপাহীন থাকা বার্সার জন্য এটি নিঃসন্দেহে একটি অসামান্য অর্জন। সিরি-এ ও কোপা ইতালিয়ার শিরোপা জেতা মাসিমিলিয়ানো আলেগ্রির জুভেন্টাসকে এবার রানার্সআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে।
বার্সেলোনার কোচ লুইস এনরিকে দলের কোচ হিসেবে প্রথম মৌসুমেই ট্রেবল জিতলেন। ১৯৫৫-৫৬ মৌসুমে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স কাপ নামে শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতার ৬০-তম আসর ছিল এটি। আর প্রতিযোগিতার ইতিহাসে বার্লিনে এবারই প্রথম ফাইনাল অনুষ্ঠিত হল।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেরা গোলদাতাদের তালিকায় ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে ৭৭ গোল করে যৌথভাবে শীর্ষে থাকা লিওনেল মেসি ফাইনালে গোল করতে পারলে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের তিন ফাইনালে গোল করার কৃতিত্ব পেতেন এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেরা গোলদাতা হতে পারতেন। উল্লেখ্য, ২০০৯ ও ২০১১ সালের ফাইনালে গোল করেছিলেন তিনি।
বার্লিনের এই ম্যাচে ফাইনালে একই দলের বিপক্ষে ও পক্ষে খেলার বিরল এক 'ডাবল' গড়েছেন ইতালির তারকা মিডফিল্ডার আন্দ্রেয়া পিরলো। ২০০৩ সালে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের ফাইনালে জুভেন্টাসকে হারানো এসি মিলানের হয়ে খেলেছিলেন তিনি। আর এবার সেই জুভেন্টাসের হয়েই খেললেন তিনি।
স্পেনের ক্লাবগুলো এই প্রতিযোগিতায় সর্বাধিক ১৫ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এর মধ্যে রিয়াল মাদ্রিদ ১০ বার এবং বার্সেলোনা ৫ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আর ইতালিয়ান ক্লাবগুলো সর্বাধিক ১৫ বার রানার্সআপ হয়েছে। এর মধ্যে জুভেন্টাসই সর্বাধিক ৬ বার রানার্সআপ হয়েছে।