সাগরের বিশাল জলরাশির দিকে তাকিয়ে আছো, হঠাৎ করে কি যেনো একটা লাফিয়ে উঠলো, কিছুক্ষণ আশপাশে পানির ফোয়ারা ছড়ালো এবং তারপর আবার ডুব দিলো। দেখতে খুব অবাক লাগে, তাইনা ?
অবাক লাগারই কথা। মূলত ডলফিনের শ্বাস নেয়ার প্রক্রিয়া এটি।
আমরা সবাই জানি মাছ ফুসফুসের সাহায্যে শ্বাস নেয়। তাহলে ডলফিন শ্বাস নেয়ার জন্যে বাতাসে ভেসে উঠে কেনো ?এ প্রশ্ন হয়তো অনেকের মাথায় এসেছে।
চলো জেনে নেই কারণটি :
প্রকৃতপক্ষে ডলফিন কোনো মাছই নয়। মাছের মত করে এরা ডিম পাড়ে না, এরা ছোট্ট বাবু জন্ম দেয়। এ বাবুটি মা ডলফিনের দুধ পান করে বড় হয়। আর এ প্রক্রিয়ায় যারা বড় হয় তাদের স্তন্যপায়ী প্রাণী বলা হয়।
মাছ সবসময় পানিতে থাকার কারণে এদের রক্ত শীতল ধরণের হয়। কিন্তু স্তন্যপায়ী প্রাণীদের রক্ত তুলনামূলক উষ্ণ হয়ে থাকে। ডলফিনও এর ব্যতিক্রম নয়।
মাছের শ্বাসকার্য চালানোর জন্যে ফুসফুস থাকলেও ডলফিন এটি ব্যবহার করে না। ডলফিন এর মাথার অগ্রভাগের একটি ছিদ্রের সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়। এই ছিদ্রটির নাম ‘ ব্লো-হোল ’।
একেকবার লাফিয়ে উঠে বাতাস নেবার পর ডলফিন যখন আবার পানিতে ডুব দেয়, তখন এটি প্রায় ২০০ ফুট পর্যন্ত নিচে যেতে পারে।
ডলফিন, তিমি এরা প্রায় একইভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস চালায়।