রূপকথার ইউনিকর্নের কথা আমরা অনেকেই শুনেছি, ছবিও হয়তো দেখেছি। বাস্তবে ইউনিকর্ণের দেখা না মিললেও এক শিংওয়ালা প্রজাতির প্রাণীর দেখা মেলে সমুদ্রে। এদের নাম নারহোয়েল।
নারহোয়েল মূলত এক প্রজাতির তিমি। এরা এদের শিঙয়ের জন্যই বেশি বিখ্যাত। তবে একটা ভুল ভাঙিয়ে দেই। ড্রিল মেশিনের সূচের মত পেঁচানো লম্বা এই অঙ্গটি আসলে নারহোয়েলের দাঁত, শিং নয়। শুধুমাত্র পুরুষ নারহোয়েলের এই দাঁত গজায়।
তবে ক্ষেত্রবিশেষে কিছু কিছু নারী নারহোয়েলেরও এই দাঁত দেখা যায়। শুধুমাত্র এই দাঁতটিই লম্বায় ৯ ফুট পর্যন্ত হয় এবং ওজন হয় ১০ কেজি।
ঠিক কী কারণে নারহোয়েলদের এই বিশেষ দাঁত গজায় তার কারণ বের করতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। ধারণা করা হয় নারী নারহোয়েলকে আকর্ষণ করতে এবং নিজেদের মধ্যে মারামারি বা নিজেদের রক্ষা করতেই এই দাঁতের দরকার হয়।
আর্কটিক মহাসাগরের বরফঢাকা পানিতে বরফের আস্তরণ ভাঙ্গতেও প্রয়োজন হয় এই দাঁতের।
তবে আরও গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাজ করে নারহোয়েলের দাঁত। এই দাঁতে স্নায়ু রয়েছে এবং ছোট ছোট ছিদ্র রয়েছে যার মধ্য দিয়ে সমুদ্রের পানি ঢুকতে পারে। এর ফলে পানির সামান্যতম পরিবর্তনও যেমন পানির তাপমাত্রা বা লবনাক্ততার পরিবর্তনও বুঝতে পারে নারহোয়েল।
এসব অনুভূতির কারণে নারহোয়েল তাদের শিকার সহজে খুঁজে পায় এবং পানিতে ভালোভাবে বাঁচতে পারে।
নারহোয়েল তিমির মতই স্তন্যপায়ী প্রাণী। আর্কটিক মহাসাগরের গ্রিনল্যান্ড, কানাডা আর রাশিয়া অঞ্চলে দেখা যায় এদের। আকারে একটি প্রাপ্তবয়স্ক নারহোয়েল ১৩ থেকে ১৮ ফুট পর্যন্ত হতে পারে আর ওজন হয় ৮০০-১৬০০ কেজি।