বিশ্বব্রহ্মাণ্ড নিয়ে একটি নতুন মডেল বলছে, আমাদের বিশ্বজগতে প্রায় ৭০০ কুইন্টিলিওন গ্রহ রয়েছে এবং পৃথিবী এদের থেকে একদমই ব্যতিক্রম অর্থাৎ পৃথিবীর মত গ্রহ আর একটিও নেই। ১ কুইন্টিলিওন= বা ১ এর পর ১৮টি শূন্য।
এটা অনেক বড় একটা খবর কেননা এটি আমাদের গ্রহ সম্পর্কে একটি নতুন ধারনা দিচ্ছে।
১৫শ শতকের শুরুর দিকে বিজ্ঞানী নিকোলাস কোপার্নিকাস আবিষ্কার করেন, পৃথিবী সৌরজগতের কেন্দ্র নয় বরং সূর্য। আর এ আবিষ্কার প্রমাণিত হবার পর থেকেই পৃথিবী সম্পর্কে আমাদের ধারণা পাল্টে যেতে শুরু করে।
কেপলার স্পেস টেলিস্কোপের দ্বারা আমাদের সূর্যের আশাপাশে ৩২টি গ্রহ পাওয়া গিয়েছে যেগুলো পৃথিবীর সাথে কিছুটা সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং বসবাসযোগ্য হবার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু শুধুমাত্র আমাদের ছায়াপথেই এরকম ৪০ থেকে ৫০ বিলিয়ন বসবাসযোগ্য (সম্ভবত) গ্রহ রয়েছে। আর বিজ্ঞানিদের ধারণা এরকম ছায়াপথ রয়েছে কমপক্ষে ১০০ বিলিয়ন।
এতো এতো গ্রহের মধ্যে খুব অল্প সংখ্যক গ্রহেরই পৃথিবীর সাথে সামঞ্জস্য রয়েছে, তাও খুব সামান্য। তবে নতুন মডেল বলছে আমাদের পৃথিবী সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম একটি গ্রহ এবং বিশেষ একটি গ্রহ।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের একটি দল এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত পৃথিবীর সাথে মিল রয়েছে এমন গ্রহগুলো নিয়ে গবেষণা করে দেখেন যে বিগত ১৩.৮ বিলিয়ন বছরে আমাদের বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে এসব গ্রহের কিভাবে সৃষ্টি এবং পরিবর্তন ঘটেছে।
তাদের তৈরি করা মডেলগুলো থেকে দেখা যায় একমাত্র পৃথিবীই একমাত্র গ্রহ যেটি এর নক্ষত্র সূর্যের সাথে মিল রেখে একটি স্বাভাবিক গ্রহ। বাকি সব গ্রহই সেগুলোর নক্ষত্র বা ছায়াপথের তুলনায় অত্যন্ত অস্বাভাবিক। আর এই বৈশিষ্ট্যই পৃথিবীকে সবার থেকে আলাদা করে তুলেছে।
তবে এই গবেষণা শুধুমাত্র এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত গ্রহগুলোকেই নিয়ে করা হয়েছে। আমাদের বিশ্বব্রহ্মাণ্ড অনেক কিছুই এখন পর্যন্ত আমাদের অজানা রয়ে গিয়েছে।