দেশ বর্তমানে যে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে সেটা আমাদের কারুরই কাম্য নয়। এটা খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যাপার। অবরুদ্ধ একটা পরিবেশের মধ্যে আমরা বসবাস করছি। দমবন্ধ করা পরিবেশ। এমন অবস্থার কারণে আমরা কোন কাজকর্মই স্বাভাবিকভাবে করতে পারছি না। আমাদের মিডিয়ার কাজকর্ম ঠিকভাবে চালাতে পারছি না, আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বাচ্চাদের স্কুলে যাওয়া হচ্ছে না। সবাই আতঙ্কের মধ্যে আছে যে কখন একটা পেট্রোল বোমা ফুটে, কখন না আবার গাড়িতে আগুন দেয় বা গাড়ি ভাঙচুর করে।
আমাদের জীবনের কোন নিরাপত্তা নেই। রাস্তায় বের হলে জীবন হাতে নিয়ে বের হতে হচ্ছে। কিন্তু দেশের এই অবস্থার কোন উন্নতিই হচ্ছে না বরং পরিস্থিতি ক্রমাগত খারাপ হচ্ছে। অস্থিরতার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে সারা দেশের মানুষ।
এমন অবস্থায় বাচ্চাদের স্কুলে পাঠানোর প্রশ্নই উঠে না। বাচ্চাদের জীবনের নিশ্চয়তা কে দেবে? শীতকালীন বন্ধের পর থেকে বাচ্চাদের স্কুল খোলেনি। স্কুল খুললেও এমন অবস্থায় আমরা কীভাবে বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাবো তাও আমাদের জানা নেই। ঘরের বাইরে বের হতেই ভরসা পাওয়া যাচ্ছে না। যেকোনো সময় আগুনে পোড়ার ঘটনা ঘটতে পারে।
এ লেভেল এবং ও লেভেলের একটা পরীক্ষা তো বাতিল করা হয়েছে। যদিও পরে বলা হয়েছে যে এসব পরীক্ষা হরতালের আওতামুক্ত থাকবে কিন্তু তারপরও ভরসা করা যাচ্ছে না।
এ অবস্থা নিরসনে সরকারের দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ নেয়া উচিত। সরকারি ও বিরোধীদল উভয়কেই একত্রিত হয়ে এ সমস্যার সমাধান করতে হবে। আমরা কেউই এ অবস্থার মধ্যে থাকতে চাই না।
তৌকির আহমেদ
অভিনেতা ও অভিভাবক