আইফোন নিয়ে পাঁচটি ভুল ধারণা

বিশ্বসেরা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল নির্মিত স্মার্টফোন আইফোন নিয়ে সবার আকর্ষণই আকাশচুম্বী। স্মার্টফোনের বাজারে সবচেয়ে দামি এই ফোন।

আইফোনের অপারেটিং সিস্টেম আইওএস নিয়ে রয়েছে অনেকেরই ভ্রান্ত ধারণা। এমনই কিছু প্রচলিত ভুল ধারণা নিয়ে এই প্রতিবেদন :

১. আইফোন ভাইরাস আক্রান্ত হয়না
আইফোনসহ অ্যাপলের আইওএস নির্ভর অন্যান্য ডিভাইসগুলো এদের ক্লোজড সিস্টেমের কারণে বেশ সুরক্ষিত বলে মনে করা হয়। আইওএসের ওপর অ্যাপলের নিয়ন্ত্রণ বেশ কড়া। প্রতিষ্ঠানটি দাবি করে কোন ভাইরাস বা ম্যালওয়ার তাদের আইওএসকে আক্রান্ত করতে পারে না।

কিন্তু কথাটি সত্যি নয়। যদিও অ্যাপল তাদের অ্যাপ স্টোরে থাকা সব অ্যাপগুলোকে নিয়মিত রিভিউ করে তারপরও এগুলোর মাধ্যমে আপনার ডিভাইসে ভাইরাস ঢুকতে পারে বা নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে।

২. টাচ আইডি নিরাপদ নয়
আইফোন ৫-এস ও এর পরের সংস্করণগুলোতে এবং সাম্প্রতিক অন্যান্য আইওএস ডিভাইসগুলোর নিরাপত্তার জন্য অ্যাপল দিয়েছে টাচ আইডি। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যবহার করে এই লক খুলতে হয়। অনেকের ধারণা এই লক সহজেই আনলক কড়া সম্ভব। মালিকের স্পর্শ করা কোন জায়গা থেকে আঙুলের ছাপ নিয়ে সেটা দিয়ে হ্যাক করা যেতে পারে আইওএস।

কিন্তু এটা একমাত্র ঝানু চোরের পক্ষেই সম্ভব আর এটা যে কোনো বায়োমেট্রিক ডিভাইসের ক্ষেত্রেই হতে পারে। সাধারণ চোরের পক্ষে আপনার আইফোনের টাচ আইডি হ্যাক করে আপনার তথ্য চুরি করা সম্ভব না। তাই নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন।

৩. অ্যান্ড্রয়েডের মত আইওএসেও সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করা যায়
অ্যান্ড্রয়েড একটা ওপেন প্ল্যাটফর্ম। আপনার ফোনের সবকিছুই আপনি পরিবর্তন করতে পারবেন। কিন্তু আইওএসের ক্ষেত্রে সেটা সম্ভব নয়। যদিও নতুন আইওএস ভার্সনগুলোতে কাস্টোমাইজ করার অনেক সুবিধা দেয়া হয়েছে কিন্তু অ্যান্ড্রয়েডের মত এতোটা নিয়ন্ত্রণ এখনো দেয়নি অ্যাপল।

৪. সব ভালো অ্যাপ অ্যাপলের কাছে
অ্যাপলই প্রথমে অ্যাপ সিস্টেমের শুরু করেছে তাই সব ভালো অ্যাপগুলো অ্যাপলের অ্যাপ স্টোরে রয়েছে বলে ধারণা করেন অনেকে। কিন্তু এটি সঠিক নয়। যদিও অনেক ডেভেলপারই অ্যাপ স্টোরে প্রথমে তাদের অ্যাপ রিলিজ করে থাকেন কিন্তু সেটা দ্রুত গুগল প্লে স্টোরেও চলে আসে। আর অ্যান্ড্রয়েডের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ার কারণে এখন অনেক অ্যাপ প্লে স্টোরেও আগে পাওয়া যায়।

৫. আইফোনের স্পেসিফিকেশন কম, তাই আইফোন ভালো নয়
অন্যান্য স্মার্টফোনের সাথে তুলনা করতে গেলে দেখবেন আইফোনের স্পেসিফিকেশন অনেক সময়ই কম থাকে। যেমন আইফোন ৬ এর র‍্যাম ১ জিবি, যেখানে এর প্রতিযোগী স্যামসাং গ্যালাক্সি এস-৬ এর র‍্যাম ৩ জিবি। এ কারণে অনেকের ধারণা আইফোন তুলনামূলকভাবে স্লো।

কিন্তু এটা মোটেও ঠিক নয়। বরং বড় বড় স্পেসিফিকেশনওয়ালা মোবাইলগুলো থেকে অনেক ভালো পারফরমেন্স দেয় আইফোন। একইভাবে অনেক বেশি মেগাপিক্সেলওয়ালা স্মার্টফোনের ক্যামেরার চাইতে আইফোনের কম মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা অনেক উন্নত।

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম লিখুন