ইউরো ফাইনালে মুখোমুখি ফ্রান্স ও পর্তুগাল

অ্যান্তনি গ্রিজম্যানের জোড়া গোলে ইউরো কাপের ফাইনালে পৌঁছেছে স্বাগতিক ফ্রান্স। তৃতীয়বারের মত ইউরো শিরোপা জেতার সুযোগ ফ্রান্সের সামনে। কিন্তু তাদের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ও তার দল। তাদের সামনে সুযোগ প্রথমবারের মত ইউরো কাপের স্বাদ নেবার। রোববারের ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে ফ্রান্স ও পর্তুগাল।

১৯৮৪ এবং ২০০০ সালে ইউরো কাপ জিতেছে ফ্রান্স। ১৯৯৮ সালে জিতে বিশ্বকাপ। এসময় ফ্রান্সের ক্যাপ্টেন ছিলেন ডিডের ডেসচ্যাম্পস। তিনি বর্তমান ফ্রান্স দলের কোচ। যদিও ডেসচ্যাম্পস মনে করেন তার দল যথেষ্ট শক্তিশালী কিন্তু পর্তুগীজ ক্যাপ্টেন রোনালদোকে নিয়েই তার যত দুশ্চিন্তা।

শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ডেসচ্যাম্পস বলেন, ‘রোনালদোকে থামানোর মত কোন পরিকল্পনা এখনো কেউ বের করতে পারেনি। নিঃসন্দেহে তিনি এখনকার সময়ের অন্যতম সেরা অ্যাথলেট। মাটিতে আর শূন্যে উভয় জায়গাতেই তার নৈপুণ্য প্রশংসনীয়’।

টুর্নামেন্টের শুরুর দিকে তেমন সাফল্য না পেলেও সেমিফাইনালে ওয়েলসের বিপক্ষে জ্বলে ওঠেন রোনালদো। ৫০ মিনিটে প্রথম গোল করে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন তিনি।

তবে পুরোপুরি ছন্দে আছে ফ্রান্স দল। সেমিফাইনালে বিশ্বকাপজয়ী জার্মানিকে রুখে দিয়ে তারা এখনো আত্মবিশ্বাসে টইটুম্বুর। সেই সাথে আছে দলের উদীয়মান খেলোয়াড় অ্যান্তনি গ্রিজম্যান। এখন পর্যন্ত ৬ গোল করে গোল্ডেন বুট ও টুর্নামেন্ট সেরা হওয়ার দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে আছেন তিনি। অবশ্য গ্রিজম্যানকে এখনো রোনালদোর সমকক্ষ মনে করছেন না ফ্রান্স কোচ। তবে স্বাগতিক হওয়ার বাড়তি সুবিধাটুকু তাদের কাজে লাগবে বলে তিনি মনে করেন।

সেই সাথে ২০০৪ সালে ঘরের মাটিতে গ্রিসের বিপক্ষে ইউরো ফাইনালে পর্তুগীজদের হার তাদের উপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করতে পারে বলেও তিনি মনে করেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম লিখুন