উটের অদ্ভুত শারীরিক গঠন

উটকে বলা হয় মরুভূমির জাহাজ । মরুভূমিতে পাঁচ থেকে দশ দিন পর্যন্ত তারা কোন খাবার ও জল না খেয়ে বেঁচে থাকতে পারে। মরুযাত্রীদের কাছে উট অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি প্রাণী। এমনকি মরুভূমিতে বা বালুকাময় অঞ্চলে যাত্রী ও মালামাল পরিবহণের এক জনপ্রিয় উপায় হচ্ছে উট। 

সাধারণত বলা হয়ে থাকে উটের নিয়মিত খাবারের দরকার হয় না। কিন্তু তা সত্য নয়। অন্যান্য প্রাণীদের মত উটেরও নিয়মিত খাদ্য ও পানির দরকার। উটের অদ্ভুত শারীরিক গঠনের কারণে তারা পেটে অনেক দিনের জন্য খাবার ও পানি সঞ্চয় করে রাখতে পারে।

উটের পিঠে বড় একটি কুজ থাকে। প্রকৃতপক্ষে এই কুজ হল উটের চর্বির মজুত ঘর। মরুভূমিতে দীর্ঘ পথ ভ্রমণের সময় শরীরে সঞ্চিত চর্বি উটের শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে। পেটের মধ্যে পানি সঞ্চয় করে রাখার জন্য উটের পেটে দুটি থলে থাকে। কুজ ও থলিতে সঞ্চিত চর্বি আর পানি উটের দীর্ঘ পথ পরিভ্রমণের মূল চালিকাশক্তি।

মূলত, ভ্রমণের পূর্বে উট প্রচুর পরিমাণ খাবার ও পানি খেয়ে থাকে। দীর্ঘ পথ ভ্রমণ শেষে উটের কুজ ঢিলা হয়ে যায়। এর কারণ হল ঐ পথ ভ্রমণকালে সঞ্চিত চর্বির প্রায় সব ব্যয়িত হয়। এছাড়া, পেটের থলিতে সঞ্চিত পানিও ফুরিয়ে যায়। যাত্রা শেষে উট এতই ক্লান্ত হয়ে পড়ে যে বহুক্ষণ সময় মাটিতে শুয়ে থাকে। স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে উটের দীর্ঘ বিশ্রামের প্রয়োজন হয়। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে খাবার ও পানি খেয়ে উট আবার শক্তি ফিরে পায়।

 

       

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম লিখুন