এবার হবে ‘মাথা’ প্রতিস্থাপন!

শুনতে আজগুবি শােনালেও অসম্ভবকে সম্ভব করার কাজে নেমেছেন এক ইতালিয়ান শল্য চিকিৎসক। ইতালিয়ান সার্জন সারজিও ক্যানাভেরো একজন মানুষের মাথা আরেকজনের শরীরের সাথে জোড়া দেয়ার পরিকল্পনা করছেন। ইতোমধ্যেই ‘মাথা’ তার হাতে চলে এসেছে। সেটা ২০১৭ সালের মধ্যে জোড়া দেয়ার চিন্তাভাবনা করছেন তিনি।

কিডনিসহ বিভিন্ন অঙ্গ প্রতিস্থাপন একটা সাধারণ ঘটনা। কিন্তু আস্ত মাথা অন্য আরেকজনের শরীরে প্রতিস্থাপনের ঘটনা এবারই হবে প্রথম, যদি সেটা আদৌ ঘটে আর কি!

ভালেরি স্পিরিদোনভ, একজন রাশিয়ান কম্পিউটার প্রোগ্রামার তার মাথাটি দান করেছেন। এই প্রতিস্থাপনের জন্য শর্ত হচ্ছে দানকারী অর্থ্যাৎ ডোনারের শরীরটি হতে হবে, মস্তিষ্ক মৃত কিন্তু চিকিৎসাবিজ্ঞানের দিক থেকে জীবিত। এর ফলে অনেকগুলো প্রশ্নের জন্ম হয়েছে।

একটি কাটা মাথা কীভাবে জীবিত থাকবে?

এ ব্যাপারে ক্যানাভেরোর পরিকল্পনা হচ্ছে বাইরে থেকে অক্সিজেন সরবরাহ করে মাথা এবং শরীরকে বাঁচিয়ে রাখা। আরেকটি উপায় হচ্ছে অক্সিজেনসমৃদ্ধ রক্ত একটি মেশিন দিয়ে এসব অঙ্গে ক্রমাগত সরবরাহ করা।

মেরুদণ্ড বা মেরুরুজ্জকে কি আসলেই জোড়া দেয়া সম্ভব?

ডঃ ক্রিস্টোফ হঙ্কে একজন ব্যক্তির দুটি হাত প্রতিস্থাপন করেন। কিন্তু সেটা পুরোপুরি কাজ করেনি। সেখানে মেরুদণ্ড কীভাবে জোড়া লাগবে সেটাও একটি বিশাল প্রশ্ন। তবে এ ব্যাপারে ক্যানাভেরো বলেন, তিনি পলিইথিলিন গ্লাইকল নামের একটি রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করবেন যেটা মেরুদণ্ডের প্রান্ত দুটিকে জোড়া লাগতে সাহায্য করবে।

যদিও এটি কাজ করে তারপরও আমাদের মাসল মেমোরির কি হবে? অর্থাৎ শরীরটি যদি একজন ক্রিকেটারের হয় তাহলে নতুন ব্যক্তি কি একজন ক্রিকেটার হবে?

এর উত্তর হচ্ছে ‘না’। শরীর আর মস্তিষ্ককে একসাথে নতুন করে আবার সব শিখতে হবে। একারণে এর পুনর্বাসনে অনেক সময় লাগবে।

এর আগেও এরকম কয়েকটা পরীক্ষা হয়েছে প্রানিদেহের উপর। সেগুলো কতটা সফল ছিল তা বলা যাচ্ছেনা। তবে এখানে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং কাজটি হচ্ছে স্পাইনাল কর্ড জোড়া দেয়া।

ক্যানাভেরো বলেন, এইভাবে একটি নারীর দেহে পুরুষের মাথা বা পুরুষের দেহে নারীর মাথাও প্রতিস্থাপন করা সম্ভব।

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম লিখুন