নামটা ডগ হলেও আসলে কুকুর নয়

প্রেইরি কুকুর। ডাকে কুকুরের মত, যে কারণে এদের নামের সঙ্গে জুড়ে দেয়া হয়েছে কুকুর পদবী। কিন্তু আসলে এরা ক্যানিন বা কুকুরজাতীয় প্রাণী নয় বরং রোডেন্ট বা কাঠবিড়ালি গোত্রীয় প্রাণী।

প্রেইরি ডগ স্তন্যপায়ী প্রাণী। এরা ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয় আর দেখতে অনেকটা কাঠবিড়ালির মতই। প্রেইরি ডগ তাদের পরিবার নিয়ে বাস করে, যেখানে সর্বোচ্চ ২৬ জন পর্যন্ত সদস্য থাকতে পারে। এরা নিজেদের মধ্যে খাবার ভাগাভাগি করে, একজন আরেকজনের কাজে সহায়তা করে এমনকি নাকে নাক ঘষে পরস্পরকে শুভেচ্ছাও জানায়।

আমেরিকার বিস্তীর্ণ তৃণভূমির মাটির নিচে সুড়ঙ্গ তৈরি করে দলবেঁধে বাস করে প্রেইরি ডগেরা। এরকম এক একটা আবাসস্থলকে বলা হয় ‘ডগ টাউন’। সাধারণত আধা বর্গমাইলের বেশি হয় না ডগ টাউনের এলাকা। কিন্তু টেক্সাসে একশ মাইলের বেশি বড় এলাকা জুড়ে 'ডগ টাউন' পাওয়া গিয়েছে।

প্রেইরি ডগদের ধারালো নখের কারণে এরা খুবই ভালো মাটি খুঁড়তে পারে। এদের দৃষ্টিশক্তি আর শ্রবণশক্তিও খুব প্রখর। এর ফলে এরা মাটির উপরে কয়োটে বা সাপের মত শিকারি প্রাণীদের উপস্থিতি সহজেই টের পায়। বিপদ টের পাওয়া মাত্র প্রেইরি ডগ ঘেউ ঘেউ করে বিপদ জানান দেয় সবার মাঝে। এমনকি শিকারির ভিন্নতা অনুসারে এদের ডাকও ভিন্ন হয়ে থাকে।

খিদে পেলে প্রেইরি ডগেরা এদের গর্ত থেকে বের হয়ে আসে খাবারের সন্ধানে। ধারালো দাঁত দিয়ে এরা তৃণভূমির ঘাস ছিঁড়ে ছিঁড়ে খায়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম লিখুন