ফুটবল মাঠে একটা দৃশ্য প্রায়ই দেখতে পাওয়া যায়। খেলতে গিয়ে কোন এক খেলোয়াড় আঘাত পেলেন। তিনি মাটিতে শুয়ে কাতরাচ্ছেন। এমন সময় ফিজিও দৌড়ে আসলেন আইস স্প্রে নিয়ে, যেটা বেশিরভাগ মানুষের কাছেই ম্যাজিক স্প্রে নামেই পরিচিত।
ম্যাজিক স্প্রে নামক এই ফার্স্ট এইড এরোসল দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। তবে সমস্যা হচ্ছে পেশাদার খেলোয়াড় বা অ্যাথলেটদের পাশাপাশি আজকাল অপেশাদার বা অনভিজ্ঞরাও এই স্প্রে ব্যবহার করা শুরু করেছেন। যা হতে পারে ক্ষতির কারণ।
কোন অভিজ্ঞ স্পোর্টস থেরাপিস্ট এই স্প্রে ব্যবহার করলে সমস্যা নেই। তবে আজকাল প্রায়ই দেখা যায়, বাচ্চাদের উপরও এই স্প্রে ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু এই ব্যাপারে বাবা-মায়েদের আরও সতর্ক হওয়া উচিত। বেশি ভালো হয় ম্যাজিক স্প্রে -এর ব্যবহার এড়িয়ে গেলে।
কারণ যেসব উপাদান ব্যবহার করে ম্যাজিক স্প্রে তৈরি করা হয় সেগুলো শরীরের ক্ষতির কারণ হতে পারে। যদিও বাজারে তুলনামূলক ‘প্রাকৃতিক’ স্প্রে পাওয়া যায় যেগুলোতে ক্যামফোর এবং মেন্থল থাকে তবে বেশিরভাগেই ব্যবহার করা হয় ক্লোরোইথেন। সঠিকভাবে ব্যবহার করতে না পারলে এসব উপাদান বিষাক্ত হয়ে দাঁড়াতে পারে।
স্প্রে করার সময় দেহের কমপক্ষে ৩০ সেন্টিমিটার দূর থেকে স্প্রে করতে হবে আর কোনভাবেই কাটা কোন স্থানে স্প্রে করা যাবেনা।
ম্যাজিক স্প্রে আঘাতপ্রাপ্ত কোন স্থান ঠাণ্ডা করে তা সাময়িকভাবে অনুভূতিহীন করে তোলে। যদিও একটি আইস ব্যাগ দিয়েও তা করা যায় কিন্তু ম্যাজিক স্প্রে অনেকগুন দ্রুত সেই কাজটি করে। কিন্তু বরফ হয়ে যাওয়া স্থানটি আবারও আঘাত পেলে তা মারাত্মক ক্ষতি বয়ে আনতে পারে।
একই সাথে ঘন ঘন বা অতিরিক্ত পরিমাণে ম্যাজিক স্প্রে ব্যবহার করলে তা হুমকির কারণ হতে পারে। তাই এই স্প্রের ব্যবহার এড়িয়ে চলাই ভালো। সবচেয়ে ভালো হয় যদি আপনি ম্যাজিক স্প্রের বদলে এক ব্যাগ বরফ ব্যবহার করেন।