মাখন নাকি মারজারিন
আগে পরামর্শ দেয়া হতো মাখন না খেয়ে মারজারিন খাওয়ার জন্য। মারজারিন হচ্ছে উদ্ভিদ জাতীয় চর্বি থেকে প্রস্তুতকৃত ভোজ্য মাখন। এই উদ্ভিজ্জ মাখন আসল মাখনের চেয়ে ভালো বলে ধরা হতো, কেননা আসল মাখনে প্রচুর ফ্যাট থাকে আর মারজারিনে ফ্যাট থাকে পরিমাণমত। তবে এখন বলা হচ্ছে ফ্যাক্টরিতে প্রস্তুতকৃত এই মারজারিনে যে ফ্যাট থাকে তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
দুধ কি ক্ষতিকর?
দুধে ক্যালসিয়াম থাকে। এটা আমাদের হাড়ের জন্য ভালো এবং আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। কিন্তু সুইডেনের বিজ্ঞানীদের এক দশকব্যাপী একটি গবেষণা বলছে বেশি দুধ খাওয়ার কারণে মানুষ তাড়াতাড়ি মৃত্যুবরণ করে। এর কারণ হতে পারে সুগার গ্যালাক্টোজ। তাই এখন থেকেই পরিমিত পরিমাণে দুধ পান করুন।
দারুচিনি
দারুচিনি একটি উন্নতমানের মসলা। কিন্তু এই দারুচিনি মাঝেমধ্যে ক্ষতিকর হয়ে দেখা দিতে পারে। দারুচিনির একটি মূল উপাদান হচ্ছে ক্যুমারিন, যেটার কারণে কিডনি এবং লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
কফি : বিষ নাকি ঔষধ!
‘কফির কারণে ক্যান্সার হয়’ অথবা ‘কফি আমাদের স্নায়ুতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর’- কফি সম্পর্কে এ ধরণের কথা আমরা প্রায়ই শুনে থাকি। তবে গবেষকেরা বলছেন, কফি শরীরের জন্য এতোটা খারাপ নয়, বরং কফি আমাদের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। তবে তাই বলে অতিরিক্ত পরিমাণে কফি খাওয়া অবশ্যই ঠিক নয়।
কোলস্টরল
হৃদরোগ ও মানবদেহের নানা ধরণের রোগের জন্য কোলস্টরলকে বরাবরই দোষারোপ করা হয়। কেননা কোলেস্টরল আমাদের রক্তনালীগুলোকে সরু এবং এমনকি বন্ধ করে দেয়। ডিম, পনির, মাংস এই জাতীয় খাবারের কারণে শরীরে কোলস্টরলের পরিমাণ বেড়ে যায়। তবে শরীরের জন্য স্বল্প পরিমাণে কোলেস্টরল আমাদের প্রয়োজন রয়েছে। আমাদের দেহ নিজ থেকেও এ কোলেস্টরল তৈরি করে।
হিমায়িত সবজি
অনেকে হিমায়িত সবজি খান না। তাদের ধারণা এতে ভিটামিন কম থাকে। তবে এখন জানা গেছে হিমায়িত সবজির পুষ্টিগুন অনেক বেশি। কারণ বাগান থেকে তোলার পরপরই এগুলো হিমায়িত করা হয়।
তৃষ্ণার আগেই পানি পান
আমাদের যখন তৃষ্ণা লাগে তখনই আমারা সাধারণত পানি পান করে থাকি। তবে এখন বলা হচ্ছে এই তৃষ্ণা লাগার আগেই আমাদের পানি পান করে নেয়া উচিত, দিনে অন্ততপক্ষে ৩ লিটার। কেননা যারা বৃদ্ধ হয়ে গেছেন তাদের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে তারা অনেক সময় তৃষ্ণা বোধ করার অনুভূতি হারিয়ে ফেলেন।
ফ্যাটি এসিড
কয়েক বছর আগে জানা গেছে ‘ওমেগা-৩’ নামক ফ্যাটি এসিড মানুষের অনেক ধরণের রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে যেমনঃ ক্যান্সার, কার্ডিওভাস্কুলার ডিজিজ, এমনকি হাইপারএক্টিভিটি ডিসঅর্ডার এবং ডিপ্রেশন। স্বাস্থ্য পরামর্শদাতারা প্রতিদিন ওমেগা-৩ সাপ্লিমেন্ট খাওয়ারও পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে এখন তারা বলছেন, যদিও ফ্যাটি এসিড আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজন তবে এসব সাপ্লিমেন্ট আমাদের অনেক রকম ক্ষতি করে থাকে।
ভিটামিনের বাড়াবাড়ি
ভিটামিন আমাদের শরীরের জন্য অত্যাবশ্যক। এরা আমাদের শরীরের মেটাবলিজম বাড়ায় এবং অনেক ধরণের রোগ প্রতিরোধ করে। এ কারণে অনেক ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট খেয়ে থাকেন। কিন্তু গবেষকেরা জানিয়েছেন এসব সাপ্লিমেন্ট বেশি পরিমাণে গ্রহণ করলে তা উল্টো কাজ করে বসতে পারে।