খুদে চিত্রশিল্পী আফরাহ্

ভিকারুন্নিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী আফরাহ্ আনাম। ছোটবেলা থেকে ছবি আঁকায় দারুণ আগ্রহ তার। মেয়ের আগ্রহ দেখে মা-বাবা ভর্তি করিয়ে দেন বগুড়ার একটি অার্ট স্কুলে। ২০১০ সালে সপরিবারে ঢাকায় চলে আসে আফরাহর পরিবার।

ঢাকার পরিবেশ বগুড়া থেকে আলাদা। নিরিবিলি নেই একটুও। যানজট, পড়াশোনার চাপ বগুড়া থেকে একটু বেশি। তবুও হাল ছাড়েনি আফরাহ্।
ছবি আঁকা শেখার জন্য ভর্তি হয় রাশিয়ান কালচারাল সেন্টারে। এখন শিখছে শিল্পী মাসুমা খানের কাছে।

‘আমি সবধরনের ছবি আঁকতে পছন্দ করি। তবে প্রকৃতির ছবি বেশি আঁকি। ছুটি পেলে বাবা মায়ের সাথে গ্রামে যাই। গ্রামের ছবিগুলো মনে গেঁথে নেই।- জানায় আফরাহ।

আফরাহ্ অবসরে ছবি আঁকেন। ছবি আঁকেন জলরং এবং অ্যাক্রিলিক মাধ্যমে। টেলিভিশনের কার্টুন বা অন্য অনুষ্ঠানের চেয়ে ছবিই তাকে বেশি টানে। এ পর্যন্ত এঁকেছেন তিনশ-রও বেশি ছবি।

গত ১৫ মে থেকে ১৭ মে তার একক চিত্রকর্ম প্রদর্শনী হয়েছে দৃক গ্যালারিতে। ১২০টি ছবি স্থান পেয়েছিল প্রদর্শনীতে। প্রদর্শনীতে ভাল সাড়া মিলেছ। তার আঁকা ১২০ টি ছবির মাঝে ৪৫টি ছবি বিক্রি হয়ে যায় প্রদর্শনীস্থলেই।

স্কুলের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতাতেও কয়েকবছর ধরে প্রথম হচ্ছে সে। গত বছর ভিকারুন্নিসা স্কুল অ্যান্ড কলেজে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে সকল শাখার মাঝে হয়েছেন দ্বিতীয়। তার প্রিয় চিত্রশিল্পী শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন এবং মাসুমা খান।

মেয়ের আগ্রহকে সবসময় সমর্থন করে আসছেন বাবা ফজলে আনাম এবং মা আফরোজা নাজনীন।

আফরাহ্-র মা আফরোজা নাজনীন জানান ‘ছোটবেলা থেকে ছবি আঁকার প্রতি মেয়ের আগ্রহ ছিল। তাই তাকে আর্টের স্কুলে ভর্তি করিয়েছিলাম।

ঢাকায় আসার পরে থাকি বসুন্ধরা এলাকায়। মেয়েকে ছবি আঁকা শেখানোর জন্য আমি নিয়ে যেতাম ধানমণ্ডির রাশিয়ান কালচারাল সেন্টারে এবং ঝিগাতলার সাউথ ব্রিজ স্কুলের মাসুমা খান ম্যাডামের বাসায়। তাকে আমরা সর্বাত্মক সমর্থন দিয়ে আসছি।’

ছবি আঁকার পাশাপাশি আফরাহ্ ভালবাসেন কবিতা আবৃত্তি করতে, গান গাইতে এবং বই পড়তে। ভবিষ্যতে চিত্রশিল্পী হতে চায় আফরাহ্।

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম লিখুন