খেলা যখন ড্রয়িংরুমে

থ্রিডি মুভি দেখে দেখে আমরা এখন কল্পনা কিংবা টেলিভিশনের পর্দাকে অনেকটুকু বাস্তব করে ফেলতে সক্ষম হয়েছি।মনে হয় সবকিছু যেনো চোখের সামনেই হচ্ছে। ভিডিওর ক্ষেত্রে ব্যাপারটা যতটা সহজ, স্থিরচিত্রের ক্ষেত্রে কিন্তু ততটা নয়। বিশেষ ধরনের চশমা ব্যবহার করে আমরা থ্রিডি প্রযুক্তির সুবিধা পেয়ে থাকি। কিন্তু ফটো/স্থিরচিত্রের ক্ষেত্রে চশমার ব্যবহার করা সম্ভব নয়।এক্ষেত্রে “জুম” করার মাধ্যমে চিত্রটি আরো কাছে থেকে আরো ভালভাবে দেখা যায়। তবে এখানেও একটি সমস্যা রয়েছে। তা হলো, ছবিটি যত বেশি জুম( Zoom) বা কাছে আনা হবে, এটি তত বেশি ঝাপসা হয়ে যাবে। অর্থাৎ,ছবিটি ভালোভাবে দেখার জন্যে যদি জুম করা হয়, একটা পর্যায়ে ছবিটির স্থানে স্থানে ফেটে যায়।

ছবির জুম প্রধানত দুই রকমের হয়ে থাকে।

১. অপটিক্যাল

২. ডিজিটাল

ডিজিটাল জুমের ক্ষেত্রে বেশির ভাগ সময়ে নির্দিষ্ট দূরত্বের পর ছবি ফেটে যেতে শুরু করে। বিভিন্ন ক্যামেরাতে 2x, 4x দ্বারা এই ডিজিটাল জুম চিহ্নিত করা থাকে। কিন্তু অপটিক্যাল জুমের ক্ষেত্রে এই সমস্যাটি হয়না। ক্যামেরার লেন্সটিকে এডজাস্ট করার মাধ্যমে এ জুম করা হয়, এবং একারণে ছবির মানের যা পরিবর্তন হয় তা একেবারেই নগন্য।

এবার আসি কিছু মজার ব্যাপারে।

ক্রিকেট খেলায় রানআউট,  ড্রপ ক্যাচ কিংবা খুব সতর্ক কিছু ডিসিশনের সময় থার্ড আম্পায়ার মাঝে মাঝে রিপ্লের ভিডিওর কিছু নির্দিষ্ট অংশের স্থিরচিত্র “জুম” করেন। প্রথম দিকে ঠিক থাকলেও, একটা সময়ে বেশি জুম করা হলে ছবির অবস্থা বাজে হয়ে যায়, তখন আম্পায়ারের আরো বেশি সমস্যা হয়।

২০১৫ এর বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশ বনাম ইংল্যান্ড এর খেলায় ইংলিশ ব্যাটসম্যান ক্রিস জর্ডানের রান আউটের পর যখন রিপ্লে দেখানো হয়, খুব কাছ থেকে তা দেখানো হয়। এতই কাছ থেকে যে মনে হচ্ছিলো একবারে চোখের সামনে সবকিছু হচ্ছে। কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে এতো জুম করার পরও ছবির কোয়ালিটি সামান্য পরিবর্তন হয়নি।

নতুন এই প্রযুক্তিটি “4K ZOOM” নামে পরিচিত।এখনো এতো বেশি প্রচার না পেলেও খুব শীঘ্রই এটি সুদূরপ্রসারী ভুমিকা পালন করবে বলে আশা করা যায়।

বিশ্বকাপ ক্রিকেটের পাশাপাশি স্প্যানিশ ফুটবল লিগ “লা-লিগা” তে সম্প্রতি এই বিশেষ প্রযুক্তির ব্যবহার হয়েছে। 

যে সমস্ত ক্যামেরায় এই প্রযুক্তির ব্যবহার হয়েছে তার একটি শর্ট লিস্টঃ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম লিখুন