গত ৮ অক্টোবর পালিত হলো বিশ্ব দৃষ্টি দিবস। চোখ ভালো রাখতে এবং দৃষ্টিশক্তি অটুট রাখার জন্য ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খাওয়া উচিত। দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখার জন্য বিশেষ কিছু খাবার উল্লেখযোগ্য-
মাছ
মাছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ এবং ফ্যাটি এসিড থাকে। যা চোখের কোষগুলো এবং রেটিনাকে(চোখের মণির পিছনের আলোকসংবেদী পর্দা) সুস্থ রাখে।
বয়স বাড়ার সাথে সাথে চোখের যেসব জটিলতা তৈরি হয় সেগুলোকেও প্রতিরোধ করা সম্ভব পর্যাপ্ত পরিমানে মাছ খেলে। এছাড়াও ছোট মাছ যেমনঃ মলা, ঢেলা ইত্যাদি ছোট মাছ আমাদের চোখের জন্য উপকারী এ তথ্য প্রায় সকলেই জানে ।
সিট্রাস ফল
কমলা, লেবু, মাল্টা এসব সিট্রাস জাতীয় ফল প্রায় সারাবছরই পাওয়া যায়। এগুলোতে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে। এছাড়াও এগুলো থেকে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায় যা আমাদের চোখের কর্নিয়া আর লেন্সকে সুস্থ রাখে এবং চোখে ছানি পড়া রোধ করে।
গাজর
গাজর এবং এই জাতীয় হলুদ সবজি ও ফলে প্রচুর বেটা-ক্যারোটিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এ এবং রঞ্জক পদার্থ থাকে যা আমাদের রেটিনা সুস্থ রাখে এবং ছানি প্রতিরোধ করে। তাই প্রতি সপ্তাহে বেশ কয়েকবার গাজর খাওয়া উচিত।
ব্লুবেরি
রাতে আরও ভালোভাবে দেখতে পারার জন্য দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় রয়্যাল এয়ার ফোর্সের পাইলটদেরকে বেশি করে ব্লুবেরি খেতে দেয়া হতো। এই ফলে রয়েছে ভিটামিন সি আর অ্যান্থোসায়ানিন যা দৃষ্টিশক্তি প্রখর করে এবং চোখে ঝাপসা দেখা রোধ করে।
পালংশাক
এই সব্জিতেও প্রচুর রঞ্জক পদার্থ, বেটা-ক্যারোটিন এবং ভিটামিন রয়েছে যা দৃষ্টিশক্তি প্রখর করে এবং ক্ষতিকর আলট্রাভায়োলেট রশ্মি থেকে চোখকে রক্ষা করে। তাই প্রতিসপ্তাহেই রান্না করে বা সালাদের সাথে পালংশাক খাওয়া উচিত।
ডিম
ডিম এমন একটি খাবার যা সবদিক থেকেই আমাদের দেহের জন্য উপকারী। ডিমে ভিটামিন-এ সহ প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা অন্ধকারে দেখার জন্য চোখকে উপযুক্ত করে তোলে। এছাড়া ডিম aging-related macular degeneration (AMD) নামে রেটিনার একটি অসুখ প্রতিরোধেও সাহায্য করে।
ভুট্টা
লুটিন এবং জিয়াজানথিন নামক রঞ্জক পদার্থের একটি বড় উৎস ভুট্টা যা আমাদের দুই চোখকে AMD থেকে রক্ষা করে। ভুট্টা সালাদ, রান্না করে বা কাঁচা খেয়েও উপকার পাওয়া যায়। প্রতিদিন ৫-৬ গ্রাম ভুট্টা খেলে তা চোখে ছানি পড়াও প্রতিরোধ করে।