বাচ্চারা সাধারনত মাছ খেতে চায় না। তাই বাচ্চাদের পরিবারের সবার সঙ্গে একটু একটু করে মাছ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। মাছে একধরনের ডোকোসাঙেনোয়িক অ্যাসিড নামে ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়। যা মায়ের গর্ভকালীন ও পরবর্তী সময়ে শিশুর বুদ্ধি বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই মা ও শিশু উভয়েরই নিয়মিত মাছ খাওয়া উচিত। নিয়মিত মাছ খেলে স্বাভাবিকের চেয়ে অন্তত দুই বছর বেশি আয়ুর অধিকারী হওয়া যায় বলে দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড স্কুল অব পাবলিক হেলথের গবেষকেরা।
প্রথমে একটু ধৈর্য ধরে কাঁটা বেছে বেছে শিশুকে খাওয়াতে হবে।
সরাসরি মাছ পছন্দ না করলে তাঁদের একটু ভিন্নভাবে যেমন মাছ ভাজা, মাছের কাটলেট, ফিশ বল তৈরি করে দেওয়া যেতে পারে।
প্রয়োজনে কাঁটাওয়ালা মাছ বেটে মাছের চপ, কাটলেট ইত্যাদি করে খাওয়ানো যেতে পারে।
দই-ইলিশ করে খাওয়ানো যেতে পারে।
শিশুরা একই খাবার সাধারণত বারবার খেতে পছন্দ করে না। সে ক্ষেত্রে মাছ নানাভাবে রান্না করে দেওয়া যেতে পারে।
যেকোনো মাছের কাঁটা ছাড়িয়ে সামান্য গোলমরিচ, ধনেপাতা, পুদিনাপাতা, লবণ দিয়ে সেদ্ধ করে গোল গোল বল করে তেলে ভেজে নিন। এভাবে ফিশ বল, মাছের চপ, স্যান্ডউইচ তৈরি করা যেতে পারে।
টেবিলে একসঙ্গে মাছ, মাংস, ডিম না রেখে ভিন্ন বেলা ভিন্ন খাবার রাখলে শিশুরা বাধ্য হয়েও মাছ খেতে অভ্যস্ত হয়।