পরিসংখ্যানে বিশ্বকাপ: ইংল্যান্ড বনাম বাংলাদেশ

· স্টেডিয়াম: অ্যাডিলেড ওভাল  
· জয়ী দল: বাংলাদেশ। ১৫ রানে ইংল্যান্ডকে পরাজিত করেছে।

· দলীয় স্কোর: বাংলাদেশ ৫০ ওভারে ২৭৫/৭
                  ইংল্যান্ড ৪৮.৩ ওভারে ২৬০/১০

· ম্যান অব দি ম্যাচ: বাংলাদেশের মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (১৩৮ বলে ১০৩ রান)

· ম্যাচের সেরা ব্যাটসম্যান: বাংলাদেশের মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (১৩৮ বলে ১০৩ রান)

· ম্যাচের সেরা বোলার: বাংলাদেশের রুবেল হোসেন (৫৩ রানে ৪ উইকেট)

· সবচেয়ে বেশি বাউন্ডারি (চার) মেরেছেন: বাংলাদেশের মুশফিকুর রহিম (৮টি)

· সবচেয়ে বেশি ওভার বাউন্ডারি (ছক্কা) মেরেছেন: বাংলাদেশের মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ(২টি)

· ম্যাচের সেরা স্ট্রাইকরেট: বাংলাদেশের মাশরাফি বিন মর্তুজা ও ইংল্যান্ডের স্টুয়ার্ট ব্রড (১৫০.০০)

· সর্বাধিক বল খেলেছেন: বাংলাদেশের মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (১৩৮ বল)

· সেরা পার্টনারশিপ: বাংলাদেশের মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ-মুশফিকুর রহিম (৫ম উইকেট জুটিতে ১৪৪ বলে ১৪১ রান)

· হাফসেঞ্চুরি সংখ্যা: বাংলাদেশের পক্ষে(১টি) করেছেন- মুশফিকুর রহিম
                          ইংল্যান্ডের পক্ষে (২টি) করেছেন– ইয়ান বেল, জস বাটলার

· সেঞ্চুরি সংখ্যা: বাংলাদেশের পক্ষে(১টি) করেছেন- মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ

· দ্রুততম হাফ-সেঞ্চুরি: ইংল্যান্ডের জস বাটলার (৪১ বলে)

· মোট বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারি সংখ্যা: বাংলাদেশ (২১টি চার ও ৫টি ছক্কা), ইংল্যান্ড (২৫টি চার ও ২টি ছক্কা)

· সবচেয়ে বেশি রান দিয়েছেন: ইংল্যান্ডের ক্রিস ওকস( ১০ ওভারে ৬৪ রান)

· সবচেয়ে বেশি ইকোনমি রেট: বাংলাদেশের তাসকিন আহমেদ (৬.৫৫)

· সবচেয়ে কম ইকোনমি রেট: বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান (৪.১০)

· সর্বাধিক ক্যাচ: বাংলাদেশের মুশফিকুর রহিম (৪টি)

· এক ওভারে বেশি রান দিয়েছেন: ইংল্যান্ডের ক্রিস জর্ডান ও বাংলাদেশের তাসকিন আহমেদ (১৫ রান)

· অতিরিক্ত রান: বাংলাদেশ (বাই ১, লেগবাই ৪, ওয়াইড ৮, নো বল ১)
                        ইংল্যান্ড (লেগবাই ৪, নো বল ১)
অন্যরকম কিছু রেকর্ড:
প্রথমবারের মত বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। এছাড়া বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের সাথে তিন বারের দেখায় দুবারই জিতেছে টাইগাররা।

বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি করেছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। এটি তার ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিও বটে। এই সেঞ্চুরির আগে বাংলাদেশই একমাত্র টেস্ট খেলুড়ে দল ছিল যাদের কোন ব্যাটসম্যানের বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি ছিল না। এজন্য টাইগাদের খেলতে হয়েছে ৫ টি বিশ্বকাপে মোট ৩০টি ম্যাচ!!!

এক বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে চার ম্যাচের তিন ম্যাচেই হাফ সেঞ্চুরি পেলেন মুশফিকুর রহিম। এক বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি রানের মালিকও এখন তিনি। ৪ ম্যাচে মোট ২৫৬ রান করেছেন তিনি। ৪র্থ উইকেটরক্ষক হিসেবে বিশ্বকাপে এক ম্যাচে ফিফটি ও ৪ বা তারও অধিক ডিসমিসালের রেকর্ড গড়লেন তিনি। তার ৮৯ রানের ইনিংসটি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পক্ষে ৩য় সর্বোচ্চ রান।

৫ম উইকেট জুটিতে দুই ‘ভায়রা’ জুটি মাহমুদুল্লাহ-মুশফিক ১৪৪ বলে ১৪১ রান তোলেন। এটি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের পার্টনারশিপ।

২৭৫ রান ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ।

এ নিয়ে তিনবার গ্রুপ পর্বেই বাদ পড়ল ইংলিশরা।

স্লো ওভার-রেটের কারণে টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাকে ৪০ শতাংশ এবং দলের অন্যান্য সদস্যদের ২০ শতাংশ ম্যাচ ফি জরিমানা করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি)।

খেলার বাইরে:  
স্বাধীনতার মাস মার্চে পাওয়া ঐতিহাসিক জয়কে অধিনায়ক মাশরাফি উৎসর্গ করেছেন মহান মুক্তিযোদ্ধাদের এবং সেইসব সমর্থকদের যারা সুসময়, দুঃসময় সব সময়ই পাশে থাকেন ।

টাইগারদের এই অর্জনে শুধু বাংলাদেশ না সারা বিশ্বের ক্রিকেট বোদ্ধাদের প্রশংসায় ভাসছে পুরো দল।

বিশ্বকাপ ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে ২০ লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী।

বিশ্বকাপ শিরোপা থেকে নকআউট পর্বে আর মাত্র ৩টি জয় দূরে বাংলাদেশ। পারবে কি মাশরাফির দল? শুভ কামনা টাইগারদের জন্য।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম লিখুন