বৈচিত্র্যময় কিছু জনগোষ্ঠীর কথাঃ পিগমি

আদিবাসী, গোত্র বা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী বলতে এমন এক ধরণের জাতিকে বোঝায় যারা কোন রাষ্ট্র গঠন করতে পারেনি কিন্তু রয়েছে তাদের নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি, আচার, রীতি ইত্যাদি। সমগ্র পৃথিবী জুড়েই বিভিন্ন দেশে-মহাদেশে ছড়িয়ে রয়েছে এরকম অসংখ্য গোত্র বা জনগোষ্ঠী। নিজেদের সংস্কৃতি আর রীতিনীতি দিয়ে এরা একটা দেশের সমাজব্যবস্থাকে করে তোলে আরও বৈচিত্রময়। এরকম কিছু জনগোষ্ঠী নিয়েই এই আয়োজন। এই পর্ব পিগমি জনগোষ্ঠী নিয়ে।

যেকোনো খাটো বা ক্ষুদ্র জিনিসকে বোঝাতে ‘পিগমি’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়। যেমন পিগমি সার্ক, পিগমি জলহস্তী ইত্যাদি। তবে পিগমি বলতে মূলত আফ্রিকার একটি আদিবাসী জনগোষ্ঠী বোঝায়।

পিগমিরা মধ্য আফ্রিকায় বসবাস করে। এদেরকে আফ্রিকার সবচাইতে প্রাচীন জনগোষ্ঠী হিসেবে গণ্য করা হয়।

পিগমিদের মূল বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এরা বেঁটে বা খর্বাকৃতির। এদের সর্বোচ্চ উচ্চতা সাড়ে ৪ ফুটের বেশি হয় না। বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছেন, শরীরের উচ্চতা বাড়ানোর জন্য যে ইনসুলিন জাতীয় আইজিএফ নামের উপাদানটি কাজ করে, পিগমিদের ক্ষেত্রে তা ঘটে না। এ কারণেই পিগমিরা খর্বাকৃতির হয়ে থাকে।

আফ্রিকা ছাড়াও ফিলিপাইন, আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ এবং পাপুয়া নিউগিনিতে পিগমি এবং এদের বংশধরদের দেখা পাওয়া যায়। তবে সারা বিশ্ব মিলিয়ে পিগমিদের সংখ্যা বর্তমানে ১ লাখের বেশি হবে না।

পিগমিরা মূলত জঙ্গলে বাস করে। তাই এদের জীবন ধারণের উপকরণও সংগ্রহ করা হয় জঙ্গল থেকেই। এরা শিকার ধরে জাল ব্যবহার করে। নিজেদের আকার ছোট বলে এরা নিজেদের কুঁড়েঘরও তৈরি করে ছোট ছোট করেই। পিগমিদের মধ্যেও আবার কয়েকটি ভাগ রয়েছে। এগুলো হচ্ছেঃ বাকা, মুবুতি এবং নেগ্রিটো।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম লিখুন