প্রাকৃতিক উপায়ে ওজন বাড়াতে চান?

অনেক মানুষের কাছে ওজন কমানো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু কেউ যদি স্বাভাবিকভাবে হালকা/পাতলা হয়ে থাকেন তাহলে এটি তার জন্যও একটি চ্যালেঞ্জ! কারণ তিনি ওজন বাড়াতে চান। স্বাস্থ্য ভালো ও শরীর ফিট রাখতে অনেকেই ওজন বাড়াতে চান।

ওজন বাড়াতে যারা নানারকম চেষ্টা করছেন তাদের জন্যই এই পোস্ট। অনেকেই নানা উপায় জানেন। কিন্তু প্রাকৃতিক উপায়ে ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই কীভাবে আপনি আপনার ওজন বাড়াবেন সেটি এখানে জানতে পারবেন।

১। লাল মাংস
লাল মাংসে প্রচুর পরিমানে কোলেস্টেরল থাকে ও এটি ওজন বাড়ানোর একটি সহজ ও কার্যকরী উপায়। মাংসে প্রচুর পরিমানে প্রোটিন ও আয়রন থাকে। মাংসে সামান্য পরিমান অলিভ অয়েল ভালোভাবে মিশিয়ে রান্না করে খেতে পারেন, এটি ওজন বাড়ানোর যথার্থ উপায় বটে। মাংসের গুরুত্বপূর্ণ অংশ যেমন পাজরের টুকরা, টি-বোন ইত্যাদিতে ভালো চর্বিও থাকে। তবে অবশ্যই মনে রাখবেন, লাল মাংসের সাথে উচ্চ চর্বিযুক্ত চর্বি খাবেন না। কারণ অতিরিক্ত চর্বি স্বাস্থ্যকর নয়।

২। পিনাট বাটার বা বাদামের মাখন খান
বাদামে প্রচুর পরিমানে প্রোটিন ও চর্বি থাকে। প্রতিদিনকার খাবারে নির্দিষ্ট পরিমানে পিনাট বাটার খেলে ওজন বাড়ে। একটি চা চামচ পরিমান পিনাট বাটারে প্রায় ১০০ ক্যালরি থাকে। এছাড়া এতে রয়েছে বিভিন্ন ধরণের ভিটামিন যেমন ম্যাগনেশিয়াম, ফলিক এসিড, ভিটামিন বি এবং ভিটামিন ই। তাই পুরো গমের পাউরুটিতে হালকা পরিমানে পিনাট বাটার মিশিয়ে খেলে আপনার ক্যালরি এবং ওজন দ্রুত বাড়বে।

৩। দুধ খান
পাস্তুরিত দুধের বদলে সাধারণ দুধ, ওজন বাড়ানোর সহজ সমাধান। কারণ এই দুধ পাস্তুরিত দুধের তুলনায় প্রতি গ্লাসে অন্তত ৬০ ক্যালরি বেশি থাকে। দুধে ভিটামিন ও পরিপোষক উপাদান থাকে। রয়েছে ভিটামিন ডি ও এ। দুধের সাথে ওটমিল মিশিয়ে খেতে পারেন। তবে যেভাবেই খান না কেনো দুধ ওজন বাড়াতে ও সুস্থ্য থাকতে সাহায্য করে।

৪। ফল খান
ফল, বিশেষ করে গ্রীষ্মকালীন ফল ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। আম, কলা, পেলে এবং আনারসে প্রচুর পরিমানে প্রাকৃতিক চিনি থাকে, যা ওজন বাড়ানোতে কার্যকরী। এটি পাকস্থলী ঠিক রাখতে ও তাৎক্ষণিকভাবে শক্তি বাড়াতে কাজ করে। কৃত্তিম চিনির পরিবর্তে এই ফলগুলোর মাধ্যমে আপনি মিষ্টি ডিজার্ট তৈরি করতে পারেন। তেব আপনি যদি আস্ত ফল ও সবজী খেতে না চান তাহলে একসাথে ব্লেন্ড করেও খেতে পারেন।

৫। অ্যাভোক্যাডো খান
ওজন বাড়াতে আরেকটি ফল হলো অ্যাভোক্যাডো। শরীরকে সুস্থ রাখতে, শরীরের প্রয়োজজনীয় ঘাটতি পূরণ করতে, চোখ ভালো রাখতে, স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে, সর্বোপরি ওজন বাড়াতে এটি অধিকা কার্যকরী। একটি অর্ধেক অ্যাভোক্যাডোতে ১৪০ ক্যালরি শক্তি থাকে। এতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ও মিনারেল যেমন ভিটামিন ই, ফলিক এসিড ও পটাশিয়াম থাকে। তাই সালাদ হিসাবে অ্যাভোক্যাডো খেতে পারে। এমনকি টোস্টেও ছড়িয়ে দিতে পারেন।

আরও যা খেতে পারেন
ওজন বাড়াতে আরও কিছু খাবার বা উপাদান রয়েছে। যেমন- গমের পাউরুটি, মাখন, ঘি, বাদাম, চিজি পনির এবং গোল আলু খেতে পারেন। এগুলো বিভিন্ন ধরণের ভিটামিন, মিনারেল, প্রোটিন, ফাইবার থাকে।

মনে রাখবেন, বিভিন্ন ধরণের বেভারেজ যেমন সোডা, কোকা-কোলা, কিংবা চর্বিযুক্ত বিভিন্ন খাবার আপনার ওজন বাড়াতে পারে তবে সেগুলো স্বাস্থ্যকর উপায় নয়। তাই স্বাস্থ্যকর নিয়ম মেনে উপরের  খাবারগুলো খান, দেখবেন কোনও প্রকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই আপনার ওজন বাড়বে। তবে অবশ্যই মনে রাখবেন অধিক ওজন বা মোটা হলে সেটা শরীরের জন্য ক্ষতিকর!

তথ্যসূত্র : স্টাইলক্রেজ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম লিখুন