প্রাগৈতিহাসিক ছুরি

পাথরের তৈরি প্রায় ৫ লাখ বছরের পুরনো এক সেট ছুরি পাওয়া গিয়েছে ইসরাইলের রেভাডিমিনে। জবাই করা কিছু কাটা মাংসের সাথেই পাওয়া গিয়েছে ছুরিগুলো, হাতির পাঁজরের হাড় কাটা ছিল সেখানে।

গবেষণা করে দেখা গেছে, ছুরিগুলোতে প্রাণীর চর্বি লেগে ছিল। প্রাচীন মানুষেরা প্রাণীর মাংস কাটার কাজে যে পাথরের ছুরি ব্যবহার করতো তা এই আবিষ্কারের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেল।

তেল আবিব ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক রান বারকাই বলেন, যেহেতু আমাদের কাছে কোন টাইম মেশিন নেই তাই এই যন্ত্রগুলো ঠিক কীভাবে ব্যবহার করা হতো তা আমরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারছি না।

তবে প্রাণীর মৃতদেহ কাটাকাটির কাজেই এগুলো ব্যবহার করা হতো বলে ধারণা করা হচ্ছে। যেহেতু এখনও যথেষ্ট প্রমাণাদি মেলেনি তাই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছেনা।

যন্ত্রপাতিগুলোর মধ্যে একটি ছিল ছোট আকারের একটি কুঠারের মত যন্ত্র। যন্ত্রটিকে বলা হচ্ছে প্রাগৈতিহাসিক ‘সুইস আর্মি নাইফ’। চামড়া ছাড়ানো এবং হাড় কাটার জন্য এই ছুরি ব্যবহৃত হতো। স্ক্র্যাপার নামে আরেক ধরণের ছুরি পাওয়া গিয়েছে যেটি চর্বি ছাড়ানো এবং পশম আলাদা করার জন্য ব্যবহার করা হতো।

বারকাই বলেন, ‘মানবজাতির বিবর্তন অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে এই আবিষ্কার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে’।

প্রাগৈতিহাসিক ‘হোমিনিন’ যারা ছিল যেমন: হোমো ইরেক্টাস, তাদের মস্তিষ্ক তুলনামূলক বড় ছিল। তাদের ক্যালোরির প্রয়োজনীয়তা বেশি দেখা দেয়, যার ফলে তারা তৃণমূল থেকে মাংস খাওয়া শুরু করে।

নিজেদের সুবিধার্থেই এসময় তারা এসব যন্ত্রপাতি আবিষ্কার করে। প্রাণীর মৃতদেহ থেকে চর্বি আর মাংস আলাদা করতেই এগুলোর উদ্ভব হয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম লিখুন