পড়াশোনায় পুরো বিশ্বে এগিয়ে এশিয়া

অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থা-র ( OECD – Organisation for Economic Co-operation and Development ) মতে ১৫ বছর বয়সীদের শিক্ষার দিক দিয়ে এশিয়া মহাদেশের অবস্থান একদম শুরুর দিকে।
আবারও তালিকাটিতে প্রথম স্থান অধিকার করেছে সিঙ্গাপুর।
তারপর রয়েছে যথাক্রমে হংকং, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান এবং তাইওয়ান। 

৬টি মহাদেশের ৭৬টি দেশের অংশগ্রহণে করা এই মূল্যায়নের ফলাফল বলছে যে, স্কুলশিক্ষার দিক দিয়ে সবচেয়ে প্রশংসিত অবস্থান এশিয়ার। আফ্রিকা মহাদেশের দেশগুলো রয়েছে শেষের দিকে। ফিনল্যান্ডের দখলে রয়েছে ৬ষ্ঠ স্থান। সুইডেন চলে গেছে ৩৫ এর ঘরে। আর যুক্তরাষ্ট্রও বেশ পিছিয়েই রয়েছে – দেশটির অবস্থান ইতালির সাথে যুগ্মভাবে ২৮-এ।

ওইসিডি-র (OECD) পরিচালক আন্দ্রিয়াস শ্লাইকার (Andreas Schleicher) বলেন, "এশিয়ায় শ্রেণীকক্ষগুলোতে গেলে দেখবেন শিক্ষকরা আশা করেন যে, প্রতিটি শিক্ষার্থীই সফল হবে। সবাই দারুণ নিষ্ঠাবান, মনোযোগী আর আগ্রহী।"
তাঁর মতে, এশিয়ার অনেক দেশই উঁচু মানের প্রতিভাবান শিক্ষকদের লক্ষ্য।

২০১২ সালের পিসা পরীক্ষা (PISA 2012 assessment) অনুযায়ীও এশিয়া মহাদেশ যথেষ্ট এগিয়ে ছিল। মূলত গণিতের ওপর জোর দেওয়া হলেও ৬৫টি দেশের ২৮ লক্ষ শিক্ষার্থীর ওপর করা সেই সমীক্ষায় অন্তর্ভুক্ত ছিল সৃজনশীল সমস্যার সমাধান এবং অর্থনৈতিক বিষয়ও। সিঙ্গাপুর তাতে অধিকার করে ২য় স্থান। আর একদম ওপরের ৬টির মধ্যে ৩টি স্থানই দখল করে চীন।

ওইসিডি-র পিসা, যুক্তরাষ্ট্রের TIMSS (Trends in International Mathematics and Science Study), লাতিন আমেরিকার TERCE সহ (Third Regional Comparative and Explanatory Study) আরও কিছু পরীক্ষার সমন্বয়ে করা ২০১৫-র এই মুল্যায়ন সম্পর্কে শ্লাইকারের বক্তব্য, "এই প্রথমবারের মত আমরা সত্যিকার অর্থেই পুরো বিশ্বের শিক্ষাব্যবস্থার গুণগত মানের একটি মানদণ্ড পেয়েছি।" ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে বিশ্বের সব দেশই যেন শিক্ষার দিক দিয়ে নিজেদের তুলনা করে পারস্পরিক শক্তি আর দুর্বলতার ব্যাপারে জানতে পারে তা-ই এর লক্ষ্য বলে তিনি জানান।

দক্ষিণ কোরিয়াতে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম-এ (World Economic Forum) সামনের সপ্তাহে জাতিসংঘ একটি সম্মেলনের আয়োজন করতে যাচ্ছে। ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলনটিতে এই মূল্যায়নের ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে ধরা হবে।

গণিত ও বিজ্ঞানের ভিত্তিতে মূল্যায়িত দেশের তালিকা

(১) সিঙ্গাপুর
(২) হংকং
(৩) দক্ষিণ কোরিয়া
(৪) জাপান ও তাইওয়ান (যুগ্মভাবে)
(৫) ফিনল্যান্ড
(৬) এস্তোনিয়া
(৭) সুইজারল্যান্ড
(৮) নেদারল্যান্ড
(৯) কানাডা
(১০) পোল্যান্ড
(১১) ভিয়েতনাম
(১২) জার্মানি
(১৩) অস্ট্রেলিয়া
(১৪) আয়ারল্যান্ড
(১৫) বেলজিয়াম
(১৬) নিউজিল্যান্ড
(১৭) স্লোভেনিয়া
(১৮) অস্ট্রিয়া
(১৯) যুক্তরাজ্য
(২০) চেকপ্রজাতন্ত্র
(২১) ডেনমার্ক
(২২) ফ্রান্স
(২৩) লাটভিয়া
(২৪) নরওয়ে
(২৫) লাক্সেমবার্গ
(২৬) স্পেন
(২৭) ইতালি ও যুক্তরাষ্ট্র
(২৮) পর্তুগাল
(২৯) লিথুয়ানিয়া
(৩০) হাঙ্গেরি
(৩১) আইসল্যান্ড
(৩২) রাশিয়া
(৩৩) সুইডেন
(৩৪) ক্রোয়েশিয়া
(৩৫) স্লোভাক প্রজাতন্ত্র
(৩৬) ইউক্রেন
(৩৭) ইসরায়েল
(৩৮) গ্রিস
(৩৯) তুরস্ক
(৪০) সার্বিয়া
(৪১) বুলগেরিয়া
(৪২) রোমানিয়া
(৪৩) সংযুক্ত আরব আমিরাত
(৪৪) সাইপ্রাস
(৪৫) থাইল্যান্ড
(৪৬) চিলি
(৪৭) কাজাখস্তান
(৪৮) আর্মেনিয়া
(৪৯) ইরান
(৫০) মালয়েশিয়া
(৫১) কোস্টারিকা
(৫২) মেক্সিকো
(৫৩) উরুগুয়ে
(৫৪) মন্টেনিগ্রো
(৫৫) বাহরাইন
(৫৬) লেবানন
(৫৭) জর্জিয়া
(৫৮) ব্রাজিল
(৫৯) জর্দান
(৬০) আর্জেন্টিনা
(৬১) আলবেনিয়া
(৬২) তিউনিসিয়া
(৬৩) ম্যাসেডোনিয়া
(৬৪) সৌদি আরব
(৬৫) কলম্বিয়া
(৬৬) কাতার
(৬৭) ইন্দোনেশিয়া
(৬৮) বতসোয়ানা
(৬৯) পেরু
(৭০) ওমান
(৭১) মরক্কো
(৭২) হন্ডুরাস
(৭৩) দক্ষিণ আফ্রিকা
(৭৪) ঘানা

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম লিখুন