নাসার মহাকাশচারী কেলি স্কট পৃথিবীতে ফিরেছে। সেই সাথে ফিরেছে আরও ২ রাশিয়ান নভোচারী মিখাইল কর্নিয়োকো এবং সার্জেই ভল্কোভ। মঙ্গলবার রাতে তারা কাজাখস্তানের মরুভূমিতে অবতরণ করেছেন।
ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে প্রায় ১ বছর কাটিয়েছেন কেলি যা কোন মার্কিন নভোচারীর জন্য সর্বোচ্চ।
পৃথিবী থেকে ৩৪০ দিন বাইরে ছিলেন কেলি। তিনি বলেন, ‘চাইলে আমি আরও ১০০ দিন বা ১০০ বছরও থাকতে পারবো। কিন্তু পৃথিবীর মানুষজন থেকে দূরে থাকা সত্যিই অনেক কষ্টকর।‘
দীর্ঘ সময় ধরে দুজনের মহাকাশে কাটানোর অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল দীর্ঘদিন পৃথিবী থেকে বহু দূরে মাধ্যাকর্ষণের বাইরে থাকলে মানুষের শরীরে কী কী পরিবর্তন আসতে পারে, সে সম্পর্কে ধারণা নেওয়া। কেলির যমজ ভাই আছেন। তাঁর নাম মার্ক কেলি। দুজন দেখতে একই রকম। স্কট এক বছর মহাকাশে কাটিয়ে আসার পর মার্কের সঙ্গে স্কটের চেহারায় কী তারতম্য তৈরি হলো, সেটিও গবেষকদের একটি আগ্রহের বিষয়। এ ছাড়া মঙ্গলে মানুষ পাঠানোর প্রস্তুতিতে কেলি ও কর্নিয়োকোর এই দীর্ঘ মহাকাশবাস বড় ভূমিকা রাখবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মহাকাশে দীর্ঘদিন কাটালে পেশি টানা, ঘুমের সমস্যা, হাড় ক্ষয়, দৃষ্টি সমস্যাসহ নানা ধরনের সমস্যায় পড়েন নভোচারীরা। কেলির ভাই অবসরপ্রাপ্ত নভোচারী মার্কের ওপর ইতিমধ্যেই গবেষকেরা পরীক্ষা চালিয়েছেন। এখন দুই ভাইয়ের শারীরিক ও মানসিক ভিন্নতা খোঁজার চেষ্টা করা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টনে নাসার বিজ্ঞানীরা কেলির শরীরেরও নানা পরিবর্তন নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন। মহাকাশে দীর্ঘদিন থাকলে আদৌ কোনো পরিবর্তন আসে কি না, সে সম্পর্কে আরও গভীরভাবে ধারণা পাবেন গবেষকেরা।