রাজনৈতিক কারণে পৃথক মতাদর্শের হওয়ায় অধিকাংশ বিষয়ে মতানৈক্যে পৌঁছাতে পারেনা যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। তবে এবার প্রাণী সংরক্ষণের একটি পদক্ষেপের ব্যাপারে একমত হয়েছে দেশ দুটি। হাতির দাঁতের আমদানি-রপ্তানি ‘প্রায় পুরোপুরি নিষিদ্ধ’ করার ব্যাপারে যৌথ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন।
অবৈধ শিকারের কারণে বৃহত্তম এই স্থলজ প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার যে হুমকির মুখে পড়েছে তা থেকে এদেরকে উদ্ধার করতে এটি একটি অত্যন্ত কার্যকরী পদক্ষেপ হবে বলেই সবাই ধারণা করছে। উল্লেখ্য, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে চীন এবং যুক্তরাষ্ট্র এবারই প্রথম কোন একটি নির্দিষ্ট ব্যাপারে সম্মত হল।
চীন পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি হাতির দাঁত আমদানি করে। গত মে মাসে তারা ঘোষণা দেয় তারা দেশের অভ্যন্তরীণ সকল হাতির দাঁতের ব্যবসা বন্ধে জোরালো ভূমিকা পালন করবে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে এই সম্মতির ফলে আন্তর্জাতিকভাবেও চীন এই ব্যবসা থেকে বিরত থাকবে।
চীনে অনেকেই তাদের মর্যাদার প্রতীক হিসেবে হাতির দাঁত ব্যবহার করে থাকেন। আর এ কারণেই তাদের চাহিদা মেটাতে বছরে প্রায় ৩০ হাজার আফ্রিকান হাতি হত্যা করা হয়।
হাতির দাঁত এবং হাতির দাঁতের তৈরি কোন অ্যান্টিক বা অন্যান্য সামগ্রী আমদানির ব্যাপারে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গতবছর থেকে এই নিষেধাজ্ঞা আরও জোরদার করা হয়েছে। নতুন এই চুক্তি চীনের ওপর অনেক বড় প্রভাব ফেলবে কারণ চীনে হাতির দাঁত আমদানি প্রায় পুরোটাই নিয়ন্ত্রণ করে দেশটির সরকার।
এই চুক্তির ফলে চীন এবং যুক্তরাষ্ট্র অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক সকল প্রকার হাতির দাঁতের ব্যবসা থেকে বিরত থাকবে। এতে অবৈধ হাতি শিকার উল্লেখযােগ্যহারে হ্রাস পাবে। চীন সংলগ্ন হংকংয়েও এর প্রভাব পড়তে পারে।