শরনার্থীদের জন্য বিকল্প আবাসের ব্যবস্থা জার্মানিতে

রাজনৈতিক অস্থিরতা ও গৃহযুদ্ধের কারণে গৃহহারা ৮ লাখ শরণার্থীকে নিজ দেশে আশ্রয় দেয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে জার্মানি। জার্মান সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে দেশটির আপমর জনসাধারণও হাতে হাত মিলিয়ে রাস্তায় নেমে এসেছে আগত শরনার্থীদের সহায়তা করতে।

শুধু আশ্রয় নয় শরনার্থীদের পুনর্বাসন থেকে শুরু করে প্রতিটি বিষয়েই সরকারের পাশাপাশি কাজ করছে দেশটির জনগন। আর এর প্রমাণ মিলেছে জার্মানির স্থাপত্যবিদ্যার কিছু ছাত্রের অভাবনীয় এক উদ্ভাবন থেকে।

প্রায় সব দেশেই শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার জন্য সাধারণত তাঁবু বা কন্টেইনারের মত জিনিস ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কিন্তু সেগুলো খুব একটা আরামদায়ক নয়। তাই জার্মানির স্থাপত্যবিদ্যার কিছু ছাত্র এর বিকল্প উপায় খুঁজে বের করেছেন।

Hannover’s Leibniz University’র এসব শিক্ষার্থীরা জানান, মিউনিখ, হামবুর্গ, বার্লিন আর কলন শহরে অনেক অব্যবহৃত আর খালি ঘরবাড়ি পড়ে রয়েছে। এসব জায়গায় থাকার ব্যবস্থা করা যেতে পারে শরণার্থীদের।

“Fill the Gap” নামের তাদের এই প্রকল্পে তারা ঠিক করেছে বিভিন্ন পরিত্যক্ত জায়গায় তারা কাঠের কয়েকতলা বিশিষ্ট বাড়ি তৈরি করবে তারা। কারণ তাঁবু বা স্টিলের কন্টেইনারের চেয়ে কাঠের বাড়ি অনেক আরামদায়ক এবং একই সাথে পরিবেশবান্ধব।

প্রতিটি বাড়িতে ৪০-৫০ জন শরণার্থী আশ্রয় নিতে পারবেন। প্রাথমিকভাবে তারা হ্যানোভার শহরে প্রায় আড়াই হাজার মানুষের জন্য থাকার জায়গা তৈরি করার পরিকল্পনা করছে।

ভবিষ্যতে তাদের পরিকল্পনা আছে পরিত্যক্ত বিভিন্ন ভাসমান নৌকা, বাড়ি এবং দালানের ছাদে শরণার্থী আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা।

সৃষ্টিশীল এসব তরুণ স্থাপত্যবিদদের মতে, বর্তমানে জার্মানিতে প্রায় হাজারখানের পরিত্যক্ত বার্জ বা মালবাহী বড় বড় নৌকা রয়েছে। এগুলােতে সহজেই শরণার্থীদের আবাসস্থল তৈরি করা যায়। নদীর পানি পরিশোধন করে তারা পান করতে পারবে এবং বিদ্যুতের জন্য তারা সৌরশক্তি ব্যবহার করতে পারে।

জার্মানিতে অনেকেই তাদের বাগানে ছোট ছোট ঘর তৈরি করে। এসব ঘরেও শরণার্থীদের জায়গা দেয়া যেতে পারে। ২০০০ সালে হ্যানোভারে অনুষ্ঠিত হওয়া এক্সপোজিশনের ডাচ প্যাভিলিয়নটি একেবারে খালিই পড়ে আছে।

এখানে অনেক শরণার্থীর জায়গা হয়ে যাবে। এমনকি পার্কিং লটেও তাদেরকে জায়গা দেয়া যেতে পারে।

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম লিখুন