সমুদ্রের পানির উচ্চতা পরিমাপ করবে স্যাটেলাইট

আমরা যে নিয়মিত আবহাওয়ার পূর্বাভাস পাই তা সম্ভব হয় আমাদের পৃথিবীর চারপাশে ঘুরতে থাকা কিছু স্যাটেলাইটের কারণে।

পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক বিভিন্ন পরিবর্তন আমরা টের পাই এই স্যাটেলাইটগুলোর মাধ্যমে। এদের বলা হয় আর্থ অবজারভেশন স্যাটেলাইট।

শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ভ্যানডেনবার্গ এয়ার ফোর্স স্টেশন থেকে জ্যাসন-৩ নামের নতুন একটি আর্থ অবজারভেশন স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয়েছে।

এই স্যাটেলাইটের কাজ হচ্ছে পৃথিবীর সমুদ্রের পানির উচ্চতার পরিবর্তন পরিমাপ করবে। এর মাধ্যমে আর্থ অবজারভেশন স্যাটেলাইটগুলো আবহাওয়ার পূর্বাভাস ছাড়াও নতুন ধরণের কাজ শুরু করলো।

এর আগে নাসার জ্যাসন-১, জ্যাসন-২ এর মত স্যাটেলাইটগুলো এতদিন পর্যন্ত কোন এলাকার ভূসংস্থান সম্পর্কে তথ্য দিয়েছে। নতুন স্যাটেলাইট এই তথ্যগুলো ব্যবহার করবে। জেনে রাখা ভালো, এসব আর্থ অবজারভেশন স্যাটেলাইটগুলো ছাড়া আমাদের গ্রহ সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান সংগ্রহ করা প্রায় অসম্ভব।

জ্যাসন-৩ স্যাটেলাইটটিতে নতুন সংযোজন হিসেবে রয়েছে একটি রেডিওমিটার এবং একটি লেজার। এছাড়াও রয়েছে বিশেষ ক্যামেরা যেগুলোর দ্বারা কোন স্থানের বিভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো বিশ্লেষণ করা সম্ভব।

এর ফলে বিজ্ঞানীরা সেই স্থানের উদ্ভিদজগত বা মাটিতে আর্দ্রতার পরিমাণ সম্পর্কে জানতে পারবেন। কোন অঞ্চলের কৃষি সম্পর্কে তথ্যও জানতে পারবেন তারা। এমনকি কোন জমিতে কী ফসল জন্মাচ্ছে সেগুলোও তারা বুঝতে পারবেন।

সেন্টিনেল-১ এবং সেন্টিনেল-২ নামের দুইটি আর্থ অবজারভেশন স্যাটেলাইট বর্তমানে ভূসংস্থান সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে। পৃথিবীর কোথায় পাহাড়-পর্বত বা উপত্যকা আছে সেটা নির্ধারণ করতে পারে এসব স্যাটেলাইট।

ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির সোওয়ার্ম মিশনের অন্তর্গত ৩টি স্যাটেলাইট ২০১৩ সাল থেকে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে। এরা পৃথিবীর অভ্যন্তরে নজর রাখে। পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রের সামান্যতম পরিবর্তন হলেও তারা সেটা জানান দেয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম লিখুন