স্পাইডারক্যাম

শুরু হয়ে গেছে ২০১৫ বিশ্বকাপ ক্রিকেট, আর এই জমকালো খেলার আসর নিয়ে ক্রিকেট ভক্তদের মাঝে উন্মাদনার শেষ নেই। যার যার প্রিয় দল নিয়ে তর্ক-বিতর্ক চলছেই। এর পাশাপাশি আমরা দিয়ে যাচ্ছি ক্রিকেট সম্পর্কীয় কিছু মজার সাধারণ তথ্য।

আচ্ছা তোমরা কি ক্রিকেট খেলার সময় মাঠের এদিক ওদিক একটি বিশাল ক্যামেরা ঘুরতে দেখেছো ? ক্যামেরাটা মাঝে মাঝে মাঠের ব্যাটসম্যানের বা বোলারের খুব কাছাকাছি চলে আসে। এই ক্যামেরাটার নাম স্পাইডারক্যাম ( Spidercam )

স্পাইডারক্যাম হলো কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত এক ধরনের আধুনিক ক্যামেরা, যা বর্তমানে অধিকাংশ খেলার সময় পুরো মাঠের চিত্র তাৎক্ষণিকভাবে ত্রিমাত্রিক আকারে ধারন করে।

১৯৮৪ সালে আমেরিকাতে তৈরী স্কাই-ক্যামের ধারণা থেকে স্পাইডারক্যামের তৈরীর ধারণা পাওয়া যায়।

এই ক্যামেরার নিয়ন্ত্রণ পুরোটাই কম্পিউটারের মাধ্যমে হয়। আর ধারণকৃত মুহূর্তগুলো অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে মূল কম্পিউটারে প্রেরন করা হয়।

অপটিক্যাল ফাইবার(Optical fiber) একধরনের পাতলা, স্বচ্ছ তন্তু বিশেষ সাধারণত কাঁচ অথবা প্লাস্টিক দিয়ে বানানো হয় যা আলো পরিবহনে ব্যবহৃত হয়।

অপটিক্যাল ফাইবার দিয়ে লম্বা দুরত্বে অনেক কম সময়ে বিপুল পরিমাণ তথ্য পরিবহন করা যায়। অপটিক্যাল ফাইবারের আরো অনেক সুবিধার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- এই ব্যবস্থায় তথ্য পরিবহনে তথ্য ক্ষয় কম হয়, তড়িৎ-চুম্বকীয় প্রভাব থেকে মুক্ত ইত্যাদি।

 

মূলত চারটি মজবুত তারের মাধ্যমে ক্যামেরাটি ধরে রাখা হয়। মাঠের চার প্রান্তে চারটি খুঁটির মাধ্যমে তারগুলো আটকানো হয়। স্পাইডারক্যাম এর মূল বৈশিষ্ট্য হলো, এর মাধ্যমেঃ

  • খুব সহজে ফোকাস করা যায়
  • জুম (Zoom) করার ক্ষেত্রে কোনো রকম প্রতিবন্ধকতা থাকে না।
  • খুব দ্রুতগতিতে এটিকে জায়গা বদল করানো সম্ভব। এটি সেকেন্ডে ৮ মিটার পর্যন্ত দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে।
  • ২৫০ X ২৫০ মিটার পর্যন্ত এরিয়া ধারণ করা যায়।

সমস্যা হলোঃ

  • এই ক্যামেরা স্থাপন অনেক ব্যয়বহুল।
  • এটি পরিচালনা করতে উচ্চমাত্রার অভিজ্ঞ কারিগরের প্রয়োজন।

 

সম্প্রতি, ২০১৪-১৫ গাভাস্কার-বোর্ডার ট্রফিতে ভারতের বিপক্ষে ৪র্থ টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার ক্যাপ্টেন স্টিভেন স্মিথ একটি ক্যাচ ফেলে দেন। পরে জানা যায়, মাঠে থাকা স্পাইডারক্যামের তারের সাথে বলটি লাগার কারণে স্মিথের ক্যাচটি ধরতে সমস্যা হয়।

 

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম লিখুন