এতোদিন পর্যন্ত যেসব বৈদ্যুতিক বাতি (বাল্ব)তৈরি করা হতো সেগুলোর জীবনকাল হচ্ছে কয়েক মাস বা বড়জোর ২-৩ বছর। ১৯২৪ সালে ‘ফিয়োবাস’ নামে বাল্ব উৎপাদনকারীদের একটি জোট গঠন হয়। সেখানে তারা ঠিক করে যে ২ হাজার ঘণ্টার বেশি চলে এমন কোন বাল্ব তারা তৈরি করবে না।
কিন্তু ১৯৩৯ সালে এ জোট বিলুপ্ত হয়ে গেলেও বাল্বের জীবনকাল কোন অজানা কারণে কমই রয়ে গিয়েছে। যদিও আমাদের প্রযুক্তিগত দিক থেকে এবং অন্য নানাদিকে অভূতপূর্ব সব অগ্রগতি হয়েছে কিন্তু এই বাল্বের ক্ষেত্রে আমরা সেই মান্ধাতার আমলেই পড়ে আছি।
তবে ২য় বিশ্বযুদ্ধের ক্রান্তিকালেও ব্রিটেনে কিছু বাল্ব তৈরি করা হয়েছিল যেগুলো কিনা আজ অবধি আলো ছড়াচ্ছে।
কিন্তু এবার জেক ডাইসন নামক এক ব্রিটিশ উদ্ভাবক একটি বাল্ব তৈরি করছেন যা কিনা প্রায় ৪০ বছর ধরে চলবে, যদি তা প্রতিদিন ১২ ঘণ্টা করে ব্যবহার করা হয়। একটি বাল্বের ক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে এটি অনেক দীর্ঘ জীবনকাল।
তবে সমস্যা হচ্ছে দীর্ঘায়ুর এই বাল্বটির দাম পড়বে ২ হাজার ডলার। অর্থাৎ বাংলাদেশী টাকায় দেড় লাখ টাকারও বেশি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, প্রথম দিকে শুধুমাত্র পাবলিক প্লেসগুলোতে লাগানো হবে এ বাল্ব। যেমনঃ এয়ারপোর্ট বা শপিং মলে।
ডাইসনের এরিয়েল লাইটের এ দীর্ঘ জীবনকালের পেছনে একটি শর্ত অবশ্য আছে। লাইটটিকে সবসময় ৫৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বা তার নীচে রাখতে হবে।
জেক ডাইসনের বাবা জেমস ডাইসনও একজন উদ্ভাবক ছিলেন। তিনি ডাইসন ভ্যাক্যুয়াম ক্লিনার, পাখাবিহীন ফ্যান আর বৈদ্যুতিক বিভিন্ন গৃহস্থালি জিনিস তৈরি করেছেন।
জানা গেছে বাবার মত ছেলেরও শিল্প-কারখানাকে নতুনভাবে এগিয়ে নেয়ার নতুন নতুন সব পরিকল্পনা রয়েছে।