পেশাগতভাবে সফল হওয়ার জন্য প্রয়োজন কঠোর পরিশ্রম এবং স্মার্ট সিদ্ধান্ত গ্রহণের সক্ষমতা। তবে কিছু সাধারণ বিষয় রয়েছে যেগুলো সকল সফল ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছে। এর মধ্যে সুস্থ্য থাকার রুটিন, ইতিবাচক মনোভবন কিংবা পড়ার ঝোঁকসহ নানা বিষয় রয়েছে, কিন্তু এই সাধারণ বিষয়গুলো ব্যক্তির সফলতার পেছনে খুবই ভূমিকা রাখে।
চলুন দেখে নিই সফল ব্যক্তিদের কী অভ্যাস ছিলো, যা আমাদের সকলের জানা উচিত।
সকালে ঘুম থেকে উঠা
সকালের ঘুম বাদ দিয়ে তাড়াতাড়ি উঠার যে কষ্ট তা আমরা সকলেই জানি। কিন্তু আপনি যদি প্রতিদিন ঘুম থেকে তাড়াতাড়ি উঠার অভ্যাস করেন তাহলে বুঝবেন এটি আপনার দিনটিকে কতোটা কার্যক্ষম করে তোলে। অনেক মিলিয়নিয়ার এই অভ্যাসটি পালন করেছেন এবং করছেন। তাদের দিকে খেয়াল করলেই বুঝবেন তারা কতোটা সতেজ মনের, চিন্তাশীল, শখের পেছনে ছোটেন এবং পরিবারের সাথে অনেক ভালো সময় ব্যয় করেন। অনেক গবেষণায় সকালে উঠার উপকারীতা আমাদের জানা।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন
আপনাকে ঠিক রাখার পাশাপাশি ব্যায়াম মস্তিস্ক পরিস্কার রাখতে এবং দিনকে ঠিকভাবে কাজে লাগাতে সহায়তা করে। হাঁটা, দৌড়ানো, টেনিস খেলা, ইয়োগা কিংবা জিমে অনুশীলন হরমোন নিসৃত করে যা চাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
পড়ুন, পড়ুন এবং পড়ুন
সফল ব্যক্তিদের আরেকটি অভ্যাস যা আশ্চর্যজনকভাবে কাজ করে। দিনটি যতোই ব্যস্ততম হোক না কেনো, তারা বই পড়ার জন্য কিছু সময় ব্যয় করেন, বিশেষ করে জীবনী ও ব্যক্তিগত উন্নয়নের বই। এটি যেমন জ্ঞান বৃদ্ধি করে, তেমনই ভুল থেকে শিক্ষা নেয়া ও সফলতার সূত্র জানা যায়। আপনি হয়তোবা জেনে থাকতে পারেন, প্রতিদিন ঘুমানোর আগে বিল গেটস এক ঘন্টা পড়াশোনা করেন।
কাজকে অগ্রাধিকার ভিত্তিকে সাজানো
সফল ব্যক্তিরা তাদের কাজকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সাজান এবং সেই অনুযায়ী বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করেন। সকল গুরুত্বপূর্ণ কাজকে টু-ডু-লিস্টে সাজালে ব্যক্তির দিন অর্গানাইজড ও কার্যকরী সময় ব্যবস্থাপনা করা যায়।
যারা আপনাকে প্রেরণা দেয় তাদের সাথে সময় কাটানো
প্রত্যেকে বিশেষ করে মিলিয়নিয়ারদের প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠতে এবং কাজে সর্বোচ্চ ভালো করতে প্রেরণার প্রয়োজন। সবথেকে ভালো উপায় হলো আপনার পেশাদার নেটওয়ার্কে যারা প্রেরণাদায়ী তাদেরকে অনুসরণ করুন। তাদের সাথে সময় কাটানো এবং সমস্যার সমাধানে পরামর্শ নেয়া আপনাকে সফলতার পথে এগিয়ে দেবে।
অর্থের সঠিক ব্যবহার
আপনার অর্থ বা সম্পদের যথাযথ ব্যবহার সবচেয়ে বুদ্ধিদীপ্ত অভ্যাস। ওয়ারেন বাফেটসহ বিলিয়নিয়াররা বিভিন্ন উৎস থেকে আয়ের পরামর্শ দেন এবং একই ঝুঁড়িতে সব ডিম না রাখা অর্থাৎ এক জায়গাতেই ব্যবসাকে সীমাবদ্ধ না রাখার কথা জানান। এতে আপনার অনাকাঙ্খিত অর্থের অভাব হবে না এবং যাত্রা চলতেই থাকবে।
সময়ের সঠিক ব্যবহার
তারা এটি সঠিক বলেন ‘সময়ই অর্থ’ এবং সফলদের চেয়ে এটি কেউ ভালো জানে না। তারা এমন ক্ষেত্রে সময় ব্যয় করেন যা তাদের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং বিনিময় পাওয়া যায়। তাই অযথা টেলিভিশন সিরিজ না দেখে কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় ব্যয় না করে প্রতিটি মিনিট ভালো কিছু করার চেষ্টা করুন।