স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদের শোকেসে সব ধরণের শিরোপাই তোলা রয়েছে। শুধু ছিল না 'ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ' শিরোপাটি। সেই অপূর্ণতা অবশেষে ঘোচাল ক্লাবটি। স্বদেশি ক্লাব বার্সেলোনা দুবার জিতলেও এটি ছিল রিয়ালের অধরা।
শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে আর্জেন্টিনার ক্লাব সান লরেঞ্জোকে ০-২ গোলে হারিয়েছে ক্লাবটি। সার্জিও রামোস (৩৬ মিনিট) ও গ্যারেথ বেলের (৫১ মিনিট) গোলে ইউরোপসেরা এই দলটি এবার বিশ্বসেরা ক্লাবের স্বীকৃতি পেল। এর আগে ২০০০ সালে আয়োজিত প্রথম টুর্নামেন্টেই খেলেছিল দলটি। সেবার তারা সেমিফাইনালেই বিদায় নেয়।
এই নিয়ে সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও স্পেনের লা লিগাসহ ছোট-বড় মোট ৮০টি ট্রফি জিতেছে স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ।
এই ম্যাচের আগে চলতি মৌসুমে সব ধরণের প্রতিযোগিতায় টানা ২১ ম্যাচ ধরে অপরাজিত রিয়াল মাদ্রিদ সান লরেঞ্জোকে হারিয়ে সেটাকে ২২-এ উন্নীত করল।
এই ম্যাচ দিয়ে রিয়ালের জার্সি গায়ে ৭০০তম ম্যাচ খেলার কৃতিত্ব অর্জন করলেন গোলরক্ষক ইকার ক্যাসিয়াস। তিন ব্রাজিলিয়ান দিদা, ফ্যাবিও সান্তোস ও দানিলোর পর চতুর্থ খেলোয়াড় হিসেবে দুটি আলাদা দলের হয়ে ক্লাব বিশ্বকাপ জিতলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।
তিনি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে ২০০৮ সালে জিতেছিলেন এই শিরোপা । তবে ফাইনালে গোল করতে পারলে ফিলিপ্পো ইনজাগি ও লিওনেল মেসির পর দুটি ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে গোল করা খেলোয়াড় হিসেবে স্থান পেতেন রোনালদো ।
গত এক বছর ধরে সৌভাগ্য যেন ভর করেছে জার্মান তারকা টনি ক্রুসের উপর। গত বছর ডিসেম্বরে বায়ার্নের হয়ে ক্লাব বিশ্বকাপ জয়ের পর এ বছর জুলাইয়ে জার্মানির হয়ে জিতেছেন বিশ্বকাপও। আর এই মৌসুমেই রিয়ালে যোগ দিয়ে আবারো জিতলেন আবারো ক্লাব বিশ্বকাপ। অর্থাৎ গত ১২ মাসে তিনটি ভিন্ন দলের হয়ে আন্তর্জাতিক শিরোপা পেলেন এই জার্মান মিডফিল্ডার।
সুসময়টা এখন কোচ কার্লো আনচেলত্তিরও। ক্লাব বিশ্বকাপ জিতে এক বছরে চারটি ট্রফিজয়ী প্রথম রিয়াল মাদ্রিদ কোচ হলেন কার্লো আনচেলত্তি। এর আগে এই বছর (২০১৪ সালে) তাঁর অধীনে চ্যাম্পিয়নস লিগ, উয়েফা সুপার কাপ ও কোপা ডেলরে জিতেছে রিয়াল মাদ্রিদ।
সব ধরনের প্রতিযোগিতায় রিয়ালের হয়ে দ্রুততম সময়ে ৭০টি (৮৮টি ম্যাচে) জয় পাওয়া কোচ এখন তিনিই।