গত বুধবার সমগ্র বিশ্বব্যাপী ৮৫ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বাণিজ্য চুক্তি নাকচ করে দেওয়া হয়েছে। আর এর মাধ্যমেই কার্যকর করা হচ্ছে ‘বিশ্ব অস্ত্র চুক্তি’ বা ‘গ্লোবাল আর্মস ট্রিটি’।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বৃহৎ অস্ত্র উৎপাদনকারী এবং রপ্তানিকারক দেশ হওয়া সত্ত্বেও এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। তবে তারা এখনো এটাকে পূর্ণ অনুমোদন করেনি।
তবে অন্যান্য বড় বড় অস্ত্র রপ্তানিকারক দেশ যেমনঃ ফ্রান্স, ব্রিটেন এবং জার্মানি ইতোমধ্যেই এ চুক্তিকে অনুমোদন করেছে। তারা একমত হয়েছেন যে ভবিষ্যতে তারা এমন কারো কাছে অস্ত্র রপ্তানি করবেন না যারা মানবাধিকার লঙ্ঘনের সাথে জড়িত।
Control Arms coalition of non-governmental organizations -এর পরিচালক অ্যানা ম্যাকডোনাল্ড বলেছেন, ‘অনেকদিন ধরেই এ প্রশ্নটা উঠেছে, যে অস্ত্র এবং গোলাবারুদ রপ্তানি করা হচ্ছে সেগুলো আসলে কাদের জীবন ধ্বংস করবে’।
তিনি আরও বলেন, ‘নতুন এই অস্ত্র বাণিজ্য চুক্তির মাধ্যমে এ ধরণের অস্ত্র রপ্তানির অবসান ঘটবে। একই সাথে কেউ যদি মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের কাছে অস্ত্র রপ্তানি করে তবে তা আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী বলে গণ্য হবে’।
১৩০টি দেশ নতুন এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে এবং ৬০টি দেশ এটি অনুমোদন করেছে। ইতোমধ্যেই অস্ত্র বাণিজ্যের সাথে যুক্ত অন্যতম দেশ ইসরাইলও এ আন্দোলনে যোগ দিয়েছে।
তবে সবাই এ চুক্তির কার্যকারিতাকে একটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন। তারা বলছেন যে এ চুক্তিকে সফল করতে হলে এখনো অনেকটা পথ যেতে হবে। আর সে উদ্দেশ্যে আগামী বছর সেপ্টেম্বর মাসে একটা প্রথম সম্মেলনটি ডেকেছেন তারা।
অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বরাত দিয়ে জানা গেছে শীর্ষ ১০ অস্ত্র রপ্তানিকারক দেশের মধ্যে ৫টি দেশই এ অস্ত্র চুক্তি অনুমোদন করেছে। এরা হচ্ছে- ফ্রান্স, জার্মানি, ইটালি, স্পেন এবং ব্রিটেন। তবে চীন এবং রাশিয়া এখনো এ চুক্তির সাথে যুক্ত হয়নি।
১৯৯৬ সালের নিউক্লিয়ার টেস্ট ব্যান ট্রিটির পর এটাই বড় কোন নিরস্ত্রিকরণ চুক্তি। এ চুক্তির দ্বারা ট্যাঙ্ক, মিসাইল থেকে শুরু করে রিভলবার, পিস্তলের মত অস্ত্রও নিয়ন্ত্রণ করা হবে। যে কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ অস্ত্র বাণিজ্যও নিয়ন্ত্রণ করা যাবে এ চুক্তির মাধ্যমে।