ডলফিন
ডলফিন আমাদের কাছে খুব আকর্ষণীয় নিরীহ একটি জলজ প্রাণী। এর সৌন্দর্য আর বুদ্ধিদীপ্ত খেলা আমাদের আনন্দ দেয়। কিন্তু এই ডলফিন যেকোনো সময় হয়ে উঠতে পারে আক্রমণাত্মক।
একবার একটি ডলফিন কমবয়সী এক মেয়েকে তার লেজ দিয়ে এমন আঘাত করেছিল যে বেচারিকে কয়েক সপ্তাহ বিছানায় থাকতে হয়েছিল।
‘পরপয়েজ’ নামক ডলফিন বা শুশুকজাতীয় প্রাণীর ওপরও এরা প্রায়ই চড়াও হয়। সেই সাথে ডলফিন তার শব্দ তৈরি করার বিশেষ ক্ষমতা দিয়েও শিকারের মারাত্মক ক্ষতি করে থাকে।
মেরু ভল্লুক
মেরু ভল্লুকের সহিংসতা নিয়মিত। এরা বাচ্চা সিলদের মেরে খায়, পুরুষ ভল্লুকরা বিনা কারণে মেয়েদের উপর আক্রমণ করে। তবে মেরু ভল্লুকের সবচেয়ে ভয়াবহ দিক হচ্ছে এরা নিজেরা স্বগোত্রীয়দের খেয়ে ফেলে।
পুরুষেরা বাচ্চাদের খেয়ে ফেলে, এমনকি মা ভল্লুকও বাচ্চা খেয়ে ফেলে। এর চেয়েও ভয়াবহতা আছে। একবার দুটো বাচ্চা ভল্লুক তাদের অসুস্থ মাকে খেয়ে ফেলে!
জলহস্তী
কাছেপিঠে পেলে হঠাৎ মানুষের ওপর আক্রমণ করে বসে জলহস্তী। মাঝে মাঝে তো কোন কারণ ছাড়াই আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে এরা। যদিও এরা মানুষ খেয়ে ফেলে না কিন্তু মারাত্মকভাবে আহত করতে পারে।
জার্নাল অফ হিউম্যান ইভোলিউশন পত্রিকায় প্রকাশিত একটি গবেষণা থেকে জানা যায়, ১৯২৩ থেকে ১৯৯৪ সালের মধ্যে সিংহ, চিতাবাঘ আর জলহস্তীর আক্রমণের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রাণী মারা গেছে জলহস্তীর আক্রমণে। এর মধ্যে জলহস্তীর ৮৬ শতাংশ আক্রমণ ছিল গুরুতর, যেখানে সিংহ এবং চিতা যথাক্রমে ৭৫ এবং ৩২ শতাংশ।
জলহস্তীর আক্রমণের তালিকায় মানুষও রয়েছে খুব ঝুঁকির মধ্যে। ১৯৯৯ সালে জার্নাল অফ ট্রাভেল মেডিসিন পত্রিকার এক পতিবেদন থেকে জানা যায়, ১৯৮৮ থেকে ১৯৯৭ সালের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকায় জলহস্তী দ্বারা পর্যটকদের উপরে ২টি গুরুতর ও ৫টি কম গুরুতর আক্রমণ হয়েছে।
মানুষ
তবে প্রাণিজগতে সবচেয়ে বড় হুমকি হচ্ছে মানুষ। সবচেয়ে হিংস্র এবং আক্রমণাত্মক এই প্রাণী। নিজেরা নিজেদের মারার ব্যাপারে জুড়ি নেই মানুষদের। শুধু তাই নয়, এরা সমানে অন্য প্রাণীদেরও হত্যা করে যাচ্ছে।
১৯৭০ সাল থেলে ২০১০ সালের মধ্যে পৃথিবীর প্রাণীর সংখ্যা প্রায় ৫২ শতাংশ কমে গিয়েছে শুধুমাত্র মানুষের হিংস্রতার কারণে।
ভোঁদড়
ভোঁদড়েরা পানিতে সময় কাটাতে পছন্দ করে। রোগ-বহনকারী, খুনি, পাজি এই বেজিগুলো খুবই ভয়ংকর। ভোঁদড়দের বেশিরভাগ প্রজাতিই ভয়াবহ।
সামুদ্রিক ভোঁদড় অনেক সময় খাবারের জন্য নয়, বরং আনন্দের জন্য অন্য প্রাণী মেরে থাকে।
২০১০ সালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বাচ্চা সিলদের উপর ভোঁদড়ের আক্রমণের ১৯টি ঘটনার উল্লেখ আছে। পুরুষ ভোঁদড়গুলো অনেক সময় মেয়ে ভোঁদড়দের ওপরও আক্রমণ করে থাকে।