পৃথিবী পর্যবেক্ষণ করবে সেন্টিনেল-৩এ

সম্প্রতি ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি সেন্টিনেল-৩এ নামের একটি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে যেটি বৈশ্বিক উশ্নায়নের উপর নজর রাখবে। এছাড়াও সমুদ্র, নদী, হ্রদ আর বরফের পরিমাণও নির্ণয়ে কাজ করবে এই স্যাটেলাইট। পৃথিবীকে পর্যবেক্ষণ করার জন্য এখন পর্যন্ত সবচাইতে বাস্তবধর্মী উপগ্রহ এই সেন্টিনেল-৩এ।

 

ইউরোপিয়ান কমিশনের ১০ বিলিয়ন ডলারের কোপার্নিকাস প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয়। রাশিয়ার উত্তরের প্লেস্তস্ক কসমোড্রম নামক স্থান থেকে ১২শ কেজি ওজনের এই উপগ্রহটি আকাশে উড়ে। রাশিয়ার রকোট নামের একটি লঞ্চারের সাথে যুক্ত ছিল সেন্টিনেল-৩এ।

পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পর্যবেক্ষণ করার জন্য এই নিয়ে মোট ৩টি পর্যবেক্ষণ উপগ্রহ মহাকাশে প্রেরণ করলো ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি।

বরফ, সমুদ্র আর সমুদ্রসীমার পরিবর্তন লক্ষ্য করবে সেন্টিনেল-৩এ। সেই সাথে সমুদ্রের পানির উচ্চতার পরিমাণও নির্ণয় করবে।

প্রকল্প দলটি বলছে আগামী ৩ দিনের মধ্যেই স্যাটেলাইটটি চালু হয়ে যাবে। তবে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার পর জুলাই মাসে পুরোদমে কাজ শুরু করবে এটি।

সেন্টিনেল-৩এ’র আয়ুষ্কাল ৭ বছর। এটি খরা, বন্যা আগে থেকেই আন্দাজ করতে পারবে এবং বিপুল পরিমাণ মানুষের অভিবাসীদের স্থানান্তরও নির্ণয় করতে পারবে। প্রতি ৩ ঘণ্টা পর পর এসব তথ্য পৃথিবীতে প্রেরণ করতে পারবে এই উপগ্রহ।

এর আগে ২০১৪ ও ২০১৫ সালে যথাক্রমে সেন্টনেল-১এ এবং সেন্টিনেল-২এ মহাকাশে প্রেরণ করা হয়। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অর্থায়নে ১২টি স্যাটেলাইট মহাকাশে প্রেরণের লক্ষ্য রয়েছে যেগুলো পৃথিবী পর্যবেক্ষণের কাজ করবে। আগামী বছর সেন্টিনেল-৩বি উৎক্ষেপণ করার কথা রয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম লিখুন