সময়ের সাথে সাথে তথ্য ও প্রযুক্তির অভাবনীয় সব উন্নতি ঘটছে। সেই সাথে প্রযুক্তিগত সব পণ্যেরও ঘটছে সব অভূতপূর্ব উন্নয়ন। বর্তমানে অতি অত্যাধুনিক ক্ষমতাসম্পন্ন সব কম্পিউটার তৈরি করা হচ্ছে। কিন্তু এত সব দ্রুতগতিসম্পন্ন আর শক্তিশালী কম্পিউটার নির্মাণের পরও মানুষের মস্তিষ্কের ধারেকাছেও নয় কোনটিই।
এটা ঠিক যে, নির্দিষ্ট ধরণের কিছু কাজ খুব দ্রুত এবং সূক্ষ্মভাবে করতে পারদর্শী কম্পিউটার। যেমন, গণনা করা বা সম্ভাব্যতা যাচাই করা ইত্যাদি। কিন্তু যখন মানুষের সম্পূর্ণ মস্তিষ্কের সাথে তুলনা করা হয় তখন কোন প্রতিযোগিতাই করতে পারে না সবচেয়ে অত্যাধুনিক কম্পিউটারটিও।
গত কয়েক বছর ধরে বিজ্ঞানীরা প্রচুর পরিশ্রম করে একটি সুপার কম্পিউটার বানানোর চেষ্টা করছেন যেটা মানুষের মস্তিষ্কের মত অত্যন্ত জটিল সব প্রক্রিয়াগুলো অনুকরণ করে কাজ করতে পারবে।
বিজ্ঞানীদের মতে, মানুষের মস্তিষ্কে প্রায় ৯০ বিলিয়ন (৯ হাজার কোটি) নিউরন (মস্তিষ্ক গঠনকারী একক কোষ) রয়েছে। এগুলো পরস্পরের সাথে যুক্ত হয়ে হাজার হাজার কোটি সংযোগ তৈরি করেছে যেগুলোকে বলা হয় সিনাপ্স। এইসব সংযোগের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন রকম বার্তা প্রবাহিত হয়ে কাজ করে আমাদের মস্তিষ্ক।
৮২ হাজারের বেশি প্রসেসর একত্রিত করে বিজ্ঞানীরা তৈরি করেছেন পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী এবং দ্রুতগতির সুপারকম্পিউটার শুধুমাত্র মানুষের মস্তিষ্কের ১ সেকেন্ডের কার্যক্রম অনুকরণ করার জন্য।
সেই সাথে নতুন এক গবেষণায় জানা গিয়েছে আগে যা ধারণা করা হতো মানুষের মস্তিষ্ক তার ১০ গুন বেশি তথ্য ধারণ করতে পারে। এর পরিমাণ হচ্ছে ১ পেটাবাইট (১ পেটাবাইট= ১০০০ টেরাবাইট= ১০ লাখ গিগাবাইট)