ফ্রান্সকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো ইউরোর শিরোপা জিতেছে পর্তুগাল। অতিরিক্ত সময়ে প্রায় ২০ গজ দূর থেকে করা আচমকা শটে এডারের চমৎকার গোলে স্বাগতিকদের হতাশ করে শিরোপা উৎসবে মাতে পর্তুগিজরা।
২০০৪ সালে ইউরোয় নিজ দেশের মাটিতে পর্তুগাল ফাইনালে উঠেছিলো প্রথমবারের মতো। কিন্তু সেবার গ্রিসের কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয় পর্তুগিজদের। ১২ বছর পর আবারও ফাইনালে উঠলেন রোনালদো এবং তার দল। এবার আর ভাগ্যবিধাতা রোনালদোকে শিরোপা বঞ্চিত হতে দিলো না ও ক্যারিয়ারে জাতীয় দলের হয়ে প্রথম কোনো শিরোপার জিতলো।
সাঁ-দেনিতে অনুষ্ঠিত ফাইনাল ম্যাচের ২৪ মিনিটে সময়ে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন রোনালদো। চোখের জলে নিজেকে ভাসিয়ে দিয়ে শেষ পর্যন্ত মাঠে না থাকলেও শেষপর্যন্ত স্বপ্নপূরণ হয়েছে রোনালদোর। নিজে মাঠে থাকতে না পারলেও তার সতীর্থরা তাকে হতাশ করে নি। রোনালদোকে এই ইউরো উপহার দিয়েছে ফ্রান্সের লিলে তে খেলা ২৮ বছর বয়সী সুপারসাব এডার। পর্তুগালের প্রথম ট্রফি তো জেতালেন তিনিই! ম্যাচের ১০৯ মিনিটে এডারের মহামূল্যবান একমাত্র গোলেই ফয়সালা করে দিলো আগামী চার বছর ইউরোপের মুকুট থাকবে পর্তুগালের মাথায়।
টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা (৬ গোল)হিসেবে গোল্ডেন বুট পুরস্কার জিতেছেন ফ্রান্সের এন্টোনিও গ্রিজমান ও উদীয়মান খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন পর্তুগালের ১৮ বছর বয়সী ফুটবলার রেনাটো সানচেজ।