সাগরে বসবাস করে দানবাকৃতির বিশাল সব প্রাণী। নীল তিমি আর গ্রেট হোয়াইট শার্ক, বিশাল বিশাল স্কুইড আর ঝিনুক, এলিফেন্ট সীল আর জাপানিজ স্পাইডার ক্র্যাব এরকম হাজারো প্রাণীর আবাসস্থল সাগরের তলদেশ।
বে এসব বিশালাকৃতির প্রাণীর সন্ধান পাওয়াটা বিজ্ঞানীদের জন্য প্রায়ই দুরূহ হয়ে পড়ে। কারন এসব প্রাণী বাস করে সাগরের এমন সব জায়গায় যেখানে মানুষের যাওয়া প্রায় অসম্ভব। তাছাড়া এরা মানুষ দেখলে সহজেই গা ঢাকা দিতে পারে।
দানবাকৃতির একটি স্কুইড হতে পারে ৬০ ফিট বা ১৮ মিটার পর্যন্ত লম্বা। তবে অনেকে গবেষক এটা মানতে নারাজ। তাদের মতে স্কুইডদের বেশিরভাগেরই দৈর্ঘ্য ৯ বা ১০ মিটারের মধ্যে। কিন্তু আমরা সাগরে যে স্কুইডগুলো দেখতে পাই সেগুলো ডিকম্পোজিশনের কারণে আকারে ছোট হয়ে গিয়েছে।
তাই গভীর সাগরে বিশাল আকৃতির স্কুইড থাকা অসম্ভব কিছু নয়। তবে সকলের মতে সর্বোচ্চ ১২ মিটার পর্যন্ত হতে পারে একটি স্কুইড।
এখন পর্যন্ত দেখা সবচাইতে বড় ওয়ালরুস বা সিন্ধুঘোটকটির ওজন ১ হাজার ৮৮৩ কিলোগ্রাম। তবে ২৫০০ কিলোগ্রাম ওজনের সিন্ধুঘোটকও শিকার করা হয়েছে বলে অনেকে দাবি করেছেন।
১৮৮৫ সালে অ্যালুটিয়ান দ্বীপের জেলেরা একটা দানবাকৃতির অক্টোপাস ধরে যার এক শুঁড় থেকে আরেক শুঁড়ের দৈর্ঘ্য ছিল ৯.৮ মিটার।
এছাড়াও সমুদ্রে ঘুরে বেড়ায় বিশাল বিশাল স্পঞ্জ যারা স্যান্ডউইচের মত দুই স্তরবিশিষ্ট আর মাঝখানে থাকে জেলির আস্তর, চওড়ায় এরা হয় ২.৫ মিটার পর্যন্ত। রয়েছে ২ মিটার চওড়া নমুরা জেলিফিশ যেগুলোর ওজন হয় ২০০ কিলোগ্রাম।
সাগরে ৩ মিটার লম্বা টিউব ওয়ার্ম ঘুরে বেড়ায়। রয়েছে বিশাল বিশাল আইসোপডস যারা ৫০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়।
সবচাইতে বড় স্তন্যপায়ী প্রাণী নীলতিমি বাড়ে ৩৩ মিটার পর্যন্ত। একবারে আধা মিলিয়ন ক্যালরির খাবার মুখে ঢুকাতে পারে এরা। মাছদের মধ্যে সবচেয়ে লম্বা স্টার-ব্যাকড হাঙরের দৈর্ঘ্য হয় ১৮.৮ মিটার পর্যন্ত। হাড়ওয়ালা মাছদের মধ্যে বিদঘুটে দর্শন ওয়ারফিশ হয় ৮ মিটার পর্যন্ত লম্বা।
সামুদ্রিক সানফিশের মাথা দেখতে মনে হয় যেন শিরচ্ছেদ করা হয়েছে। হাড়ওয়ালা মাছের মধ্যে এদের ওজন সবচেয়ে বেশি হয়।
লম্বায় ৩.৩ মিটার আর ওজন হতে পারে ২ হাজার ৩০০ কিলোগ্রাম। এছাড়া এলিফেন্ট সীল নামক সীলদের ওজন হয় ৫ হাজার কিলোগ্রাম।