ভ্যাটিকানের পুরাতত্ত্ব সংগ্রহে থাকা দুইটি মমিকে সম্প্রতি নকল বলে ঘোষণা করেছেন পুরাতত্ত্ববিদেরা। মাত্র ২ ফুট লম্বা এই মমি দুইটি প্রাচীন মিশরের কোন শিশুর ছিল বলে এতদিন সবার ধারণা ছিল।
কিন্তু ভ্যাটিকানের গবেষকরা অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন থ্রিডি সিটি স্ক্যান, এক্স-রে, ডিএনএ পরীক্ষা, ইনফ্রারেড এবং আলট্রাভায়োলেট রশ্মি ইত্যাদি ব্যবহার করে নিশ্চিত হয়েছেন মমিগুলো কোনভাবেই প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতার সমকালীন সময়ের নয়।
মমির শরীরের একটি নখ পরীক্ষা করে জানা যায় এই মমি দুটি আসলে ১৯শ শতকের।
পরীক্ষা-নিরীক্ষা থেকে আরও বেরিয়ে আসে, হলদে রেজিন দিয়ে কার্টোনেজের (মমির কফিনের উপর প্যাপিরাস বা লিনেনের আস্তর দ্বারা যে নকশা করা থাকে) উপর আঁকা নকশাগুলোও ১৯শ শতকে ইউরোপে তৈরি।
তবে যে ব্যান্ডেজ দিয়ে মমিগুলো মোড়ানো ছিল শুধুমাত্র সে ব্যান্ডেজগুলোই প্রাচীন মিশরীয় সময়ের বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, ১৭৯৮ সালে নেপোলিয়ন মিশরে যে উদ্ধারকাজ চালান সেসময় যে মমি ম্যানিয়া তৈরি হয়েছিলো তারই ফল এই নকল মমি দুটো। ১৯শ শতকের দিকে কিছু ধনী ব্যক্তি লোকদেখানোর জন্য মমি সংগ্রহ করতেন। সম্ভবত তাদেরকেই এসব নকল মমি গছিয়ে দেয়া হতো।
‘ভ্যাটিকান মমি প্রোজেক্ট’ নামের এই গবেষণা কাজটি ২০০৭ সালে শুরু হয়। ভ্যাটিকানের জাদুঘরে থাকা ৯টি মমি নিয়ে এই গবেষণা চালানো হয়।