সিন্ডারেলা সিনেমায় সিন্ডারেলার পরা জমকালো গাউনটি নিয়ে বেশ আলোচনা চলছিল। এই অসাধারণ নজরকাড়া পোশাকটির কারিগর ‘স্যান্ডি পাওয়েল’ এবার উন্মোচন করেছেন গাউনটির কয়েকটি গোপন তথ্য।
১. এই গাউনের ৮টি সংস্করণ রয়েছে এবং এর প্রত্যেকটিই আলাদা। এদের মধ্যে একটি ২ ইঞ্চি ছোট, দুইটি ৪ ইঞ্চি ছোট, আরেকটিতে আবার নিচের দিকে ছোট ছোট ছিদ্র রাখা হয়েছিল। এই ৮টি পোশাক বানাতে প্রায় ৬ মাস সময় লেগেছিল।
২. সিন্ডারেলা চরিত্রের অভিনেত্রী লিলি জেমস বলেন, তার কোমর সরু দেখানোর জন্য তাকে ফটোশপ করা হয়নি। পোশাকটির ভিতরে তিনি এমনিতেই ১ ইঞ্চি সরু হয়ে গিয়েছিল। আর পোশাকটি নিচের দিকে এতোই চওড়া ছিল যে কোমরের কাছে তুলনামূলক বেশিই সরু মনে হত।
৩. এই সিনেমায় সিন্ডারেলার গডমাদার চরিত্রে অভিনয়কারী হেলেনা বোনহেম-কার্টার লিলিকে উপদেশ দেন পোশাকটি পরার সময় যতটা সম্ভব শ্বাস বের করে দিতে। এতে করে কোমর সরু হয়ে আসবে আর পোশাকটি পরতে সুবিধা হবে।
৪. গাউনটির উপরের স্তর সিল্ক ক্রেপলাইনের তৈরি। যা অত্যন্ত হালকা এবং মসৃণ এক ধরণের রেশম। আর এর নিচের স্তরটি বানানো হয়েছে ইয়ুমিসিমা নামক সিনথেটিক দিয়ে যেটি অসম্ভব রকমের হালকা এবং খুবই দামি। এসব জিনিসের তৈরি বলে এই পোশাকটি বাতাসে উড়ে।
৫. গাউনটি পরা অবস্থায় অভিনেত্রী লিলির বাথরুমে যাওয়ার প্রয়োজন হলে তাকে একটা ছোট পটি দেয়া হতো।
৬. গাউন তৈরি করতে কত টাকা খরচ হয়েছে তা প্রকাশ করা নিষেধ ছিল। তবে ধারণা করে হচ্ছে, প্রতিটি গাউন তৈরিতে প্রায় ১২ হাজার ডলার লেগেছে।
৭. গাউনের করসেট এবং ক্রিনোলাইন স্টিল দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল।
৮. গাউনটি পরে হাঁটা আর নাচার সময় লিলিকে সাবধানে ছোট ছোট পা ফেলতে হতো।
৯. প্রতিটি গাউনের শুধু পাড়েই তিন মাইল সমান সুতা রয়েছে। একেকটি পোশাক তৈরিতে ২৫০ মিটার কাপড় লেগেছে।
১০. পোশাকটি পড়তে লিলির সময় লাগতো কমপক্ষে ২০ মিনিট। যদিও এটা তুলনামূলক কম সময়ই ধরা যায়।