ওয়াই-ফাই এর দিন সম্ভবত শেষ হতে চলেছে। কেননা অ্যাপলের পরবর্তী আইফোন ও আইপ্যাডগুলোতে থাকতে পারে নতুন প্রযুক্তি লাই-ফাই। একজন আইওএস ডেভেলপারের টুইট থেকে ‘লাইফাই ক্যাপাবিলিটি’ নামের একটি জিনিস পাওয়া গিয়েছে যেটি আইওএস ৯.১ কোডেও ছিল। অ্যাপল ইনসাইডার ব্যাপারটি সম্পর্কে অনেকটাই নিশ্চিত।
২০১১ সালে হ্যারল্ড হ্যাস উদ্ভাবন করেন লাই-ফাই। ওয়াই-ফাইয়ের মত এটিও ডাটা ট্রান্সফার করে। তবে ওয়াই-ফাইয়ের রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ওয়েভের বদলে লাইফাইয়ে ব্যবহৃত হয় light-emitting diodes (LEDs)। আলো মিটমিট করে জ্বলা-নেভার মাধ্যমে এখানে ডাটা ট্রান্সফার হবে। তবে এই আলো এতোই দ্রুত মিটমিট করবে যে তা খালি চোখে দেখা যাবে না।
লাই-ফাইয়ের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে গতি। অত্যন্ত দ্রুতগতিতে ডাটা ট্রান্সফার করবে এই প্রযুক্তি। গবেষণাগারে দেখা গেছে, এটি সেকেন্ডে ২২৪ গিগাবাইট পর্যন্ত ডাটা আদানপ্রদান করতে সক্ষম। তবে বাস্তবে সেকেন্ডে ১ গিগাবাইট ডাটা ট্রান্সফার করতে পেরেছে লাই-ফাই। তারপরও বর্তমান ওয়াই-ফাইয়ের চাইতে এটি ১০০ গুন দ্রুততর।
তবে আইফোন এবং আইপ্যাডে লাই-ফাই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে কিনা সেব্যাপারে অ্যাপল এখনো নিশ্চিত কিছু জানায়নি। তবে এই প্রযুক্তি ডাটা ট্রান্সমিশনের ক্ষেত্রে যে বিরাট পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে তাতে স্মার্টফোনসহ অন্যান্য ডিভাইসগুলো এই প্রযুক্তি দ্রুত গ্রহণ করবে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।
তবে লাই-ফাই প্রযুক্তি ব্যবহারকারীদের কাছে পৌঁছাতে এখনো ৩-৪ বছর লাগতে পারে বলে জানা গেছে। সে হিসেবে আইফোন-৭ এ লাই-ফাই থাকার কোন সম্ভাবনা নেই। ভবিষ্যৎ আইফােন এবং অন্যান্য ডিভাইসে এই প্রযুক্তি কবে নাগাদ থেকে ব্যবহার করা হতে পারে সে ব্যাপারেও তেমন কিছু জানা যায়নি।