প্রতি বছর ৫৫ লাখের বেশি মানুষ মারা যায় বায়ু দূষণের কারণে। এর মধ্যে ৩০ লাখই মারা যায় চীন এবং ভারতে। American Association for the Advancement of Science এর বার্ষিক সভায় শুক্রবার এই তথ্য জানায় গবেষকেরা।
বিশ্বজুড়ে মৃত্যুর ঝুঁকির ৪র্থ কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয় বায়ু দূষণকে। আর পরিবেশগত ঝুঁকির দিক থেকে এটাই প্রথম- জানিয়েছেন ড. মাইকেল ব্রুয়ার, ইউনিভার্সিটি অফ ব্রিটিশ কলাম্বিয়া স্কুলের অধ্যাপক।
২০১৩ সালে চীনে প্রায় ১৬ লাখ এবং ভারতে প্রায় ১৪ লাখ মানুষ মারা গিয়েছে বায়ু দূষণের কারণে।
এরকম অপ্রত্যাশিত মৃত্যুর সংখ্যা কমাতে চীন এবং ভারত উভয় দেশই কিছু নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে। পরিবেশের উন্নতি এবং বায়ু দূষণ কমানোর লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে তারা।
পরিবেশ দূষণ কমাতে ইতোমধ্যেই চীন তাদের বায়ুর মান উন্নত করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
প্যারিস জলবায়ু সম্মেলনে চীন প্রতিজ্ঞা করে তারা ২০৩০ সালের মধ্যে ২০ শতাংশ কার্বনমুক্ত বিদ্যুৎ উৎসের সূচনা করবে।
ব্রুয়ার বলেন, চীন তাদের সঠিক পথে রয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, ঠিক কতদিনের মধ্যে তারা বায়ু দূষণকে একটি সহনীয় মাত্রায় নিয়ে আসতে পারে।
চীনের বেইজিং বায়ু দূষণের মাত্রা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারণ করে দেয়া মাত্রার চাইতে ৮-১০ গুন বেশি। চীন তাই নতুন যানবাহন ব্যবহারে কঠোর হয়েছে, বিশুদ্ধ জ্বালানী ব্যবহার করছে এবং কয়লার ব্যবহার কমাচ্ছে।
অন্যদিকে, প্যারিস জলবায়ু সম্মেলনে ভারত ঘোষণা দেয় ২০৩০ সালের মধ্যে তারা তাদের দূষণের মাত্রা ৩৩-৩৫ শতাংশ কমিয়ে আনবে, ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে অজীবাশ্ম জ্বালানী থেকে এবং প্রচুর পরিমাণে বনভূমি বৃদ্ধি করবে।
কয়লা এবং প্রাণীর বিষ্ঠা জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার করার কারণে ভারতের বায়ুর মান খুবই খারাপ।
প্রতি বছর এই বিপুল পরিমাণ জনগোষ্ঠীর মৃত্যু রোধ করতে শুধু ভারত এবং চীনই নয়, সারা বিশ্বের দেশগুলোকে তাদের বায়ুর মান উন্নত করার তাগাদা দিচ্ছেন পরিবেশ গবেষকেরা।