বেশ কয়েক দশক আগে পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া একটি পাখিকে পুনরায় দেখা গিয়েছে মায়ানমারে।
কিছুদিন আগে ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন সোসাইটির একটি দল মায়ানমারের একটি তৃণভূমিতে পাখি পর্যবেক্ষন করছিল। এমন সময় তারা জারডন্স বাবব্লার (Jerdon’s babbler) নামক এই পাখির খোঁজ পান।
প্রথমে তারা অনেক দূর থেকে ভেসে আসা পাখিটির ডাক শুনতে পান। তারা সে ডাক রেকর্ড করেন এবং বারবার সেটা শুনে তারা পাখিটির উপস্থিতি সম্পর্কে ধারণা পান।
এরপর দুইদিন সে জায়গায় খোঁজ লাগিয়ে বেশ কয়েকটি জারডন্স বাবলার পাখির দেখা পান তারা। সে সময় পাখিটির ছবি তুলতেও সক্ষম হন তারা। তাদের মতে সর্বশেষ ১৯৪১ সালে দেখা গিয়েছিল এই পাখি।
দক্ষিণ এশিয়ার নদীবিধৌত অঞ্চলে দেখা যেত জারডন্স বাবব্লার পাখি। এই পাখির তিনটি প্রজাতির মধ্যে এটি একটি। এর গায়ের রঙ বাদামী।
১৮৬২ সালে সর্বপ্রথম এই পাখির বর্ণনা দেন ব্রিটিশ প্রকৃতিবিদ টি সি জারডন্স। তার নামানুসারেই এই পাখির নাম রাখা হয়। তার মতে এই পাখি সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল মায়ানমারের দক্ষিনে সিতাউং নদীর আশেপাশে।
গত শতকে এ অঞ্চলে মানুষের বসতি স্থাপনের কারণে বিলুপ্ত হয়ে যায় জারডন্স বাবব্লার পাখি। প্রকৃতপক্ষে এদের বেঁচে থাকার জন্য তৃণভূমি অঞ্চল অত্যাবশ্যকীয়। যদিও পাখিটির টিকে থাকার কারণে পাখি বিশেষজ্ঞরা আশাবাদী, তারপরও তারা শঙ্কায় আছেন যে পাখিটি শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে পারবে কিনা।
তবে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া পাখি পুনরাবিষ্কারের ঘটনা এটিই প্রথম নয়। বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া ফিলিপাইনের Worcester’s buttonquail পাখি আবারও ক্যামেরায় ধরা পড়ে ২০০৯ সালে। পাখি বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন এরকম আরও কিছু বিলুপ্ত পাখি হয়তো আবারও দেখা যাবে।
যেমন: ১৯৭৮ সালে সর্বশেষ দেখতে পাওয়া সাদা-চক্ষু মারটিন এবং ১৯৪৯ সালে শেষ দেখতে পাওয়া গোলাপি-মাথা হাঁস। পাখি বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন হয়তো এদের আবারও খুঁজে পাওয়া যেতে পারে প্রকৃতি মাঝে।