বিদ্যুৎ এর মূল্যবৃদ্ধি, গ্যাস, কয়লার মজুদ কমে যাওয়া, প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিদ্যুৎ না পৌঁছানো কিংবা পরিবেশ রক্ষা ও নবায়নযোগ্য শক্তিকে কাজে লাগাতে ক্রমেই জনপ্রিয় হচ্ছে সৌরবিদ্যুৎ। সৌরবিদ্যুৎ তৈরিতে ব্যবহার করা হয় সোলার প্যানেল। আগামী ৫ বছর বিশ্বে প্রতি ঘন্টায় ৭০ হাজার নতুন সোলার প্যানেল বসবে।
সোলার প্যানেলের মাধ্যমে সূর্যের আলো থেকে শক্তি আহরণ করে তা বিদ্যুতে রূপান্তরিত করা হয়। শুধু বাসা-বাড়ি নয়, এখন কলকারখানা, ব্যবসায়িক কাজেও ব্যবহৃত হচ্ছে সৌরবিদ্যুৎ। সম্প্রতি অ্যাপল তাদের নতুন ক্যাম্পাস শতভাগ সৌরবিদ্যুৎ এর আওতায় এনেছে ও পরিচালিত করছে।
ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি অ্যাসোসিয়েশন (আইইএ) এর মতে, ২০২২ সাল নাগাদ বিশ্বে সৌরবিদ্যুৎ এর সক্ষমতা বর্তমানের চেয়ে তিনগুন বেশি হবে। আর এজন্য প্রতি ঘন্টায় যুক্ত হবে ৭০ হাজার সোলার প্যানেল, যা দিয়ে প্রতিদিন এক হাজার সকার পিচ আলোকিত করা সম্ভব।
চীনের চাহিদা, বিশ্বে প্রতিনিয়ত সোলার প্যানেলের দাম ও ইনস্টল খরচ কমে যাওয়ার কারণে সৌরবিদ্যুৎ এর চাহিদা বাড়বে। চীন বিশ্বের প্রায় ৪০ শতাংশ সোলার প্যানেল বসিয়েছে এবং তার ধারাবাহিকতা থাকবে। ইতিমধ্যেই ২০২০ সালের লক্ষ্যমাত্রা তারা এখনই পূরণ করেছে।
আইইএ জানায়, ২০১৬ সালে অন্যান্য জ্বালানীর তুলনায় সৌরবিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। আগামী ৫ বছরে অন্যান্য নবায়নযোগ্য জ্বালানী বা শক্তি যেমন উইন্ড ও হাইড্রোপাওয়ার এর তুলনায় সৌরবিদুৎ এর সক্ষমতা বাড়বে।
চীনের মতোই ভারত, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রে আগামী ৫ বছরে সৌরশক্তি ব্যবহারের পরিমাণ তিনগুন হবে।