গ্রীষ্মকাল বা শীতকাল উভয় ঋতু নিয়েই আমাদের অভিযোগ রয়েছে। নানা অভিযোগের মধ্যে গ্রীষ্মকালই সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির কারণ হয়ে যায়। কারণ শরীরকে গরম করার চেয়ে ঠান্ডা করা খুবই কঠিন।
গরমে সবচেয়ে ভোগান্তি হলো রাতের ঘুম। পর্যাপ্ত ঠান্ডার ব্যবস্থা না থাকলে এসময় ঘুমের বারোটা বেজে যায়। আমরা গরমে একটু আরামের ঘুম দিতে কতোই না ব্যবস্থা গ্রহণ করি। তবে কিছু কৌশল মেনে চললে গরমেও আরামে ঘুম দেয়া সম্ভব। চলুন দেখে নিই সেসব কৌশলগুলো।
১. বিছানার চাদর, বালিশ ইত্যাদি প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে কয়েক মিনিটের জন্য ফ্রিজ বা ফ্রিজারে রাখতে পারেন।
২. হট ওয়াটার ব্যাগে বরফপানি ভরে নিন এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে (ঘাড়, গোড়ালি, কব্জি, হাটু, কুঁচকি ও কনুই) কিছুক্ষণ রাখুন। এমনকি এই ব্যাগ আপনার বিছানাতেও শরীরের পাশে রাখতে পারেন।
৩. সুগন্ধির খালি বোতলে ঠান্ডা পানি ভরে নিয়ে আপনার বিছানার আশেপাশে, মুখে, ঘাড়ের পিছনে এবং হাটুতে স্পে করে ঠান্ডা করতে পারেন।
৪. পরনে কটনের পাতলা কাপড় এবং বিছানায় পিওর কটনের বেডশীট ব্যবহার করুন।
৫. প্রোটিনযুক্ত খাবার কম খান, কারণ এসব খাবার গরম লাগার কারণ হয়ে দাড়ায়।
৬. ঘুমাতে যাওয়ার কমপক্ষে তিন ঘন্টা আগে ঝাল খাবার খান, এটি শরীরকে ঠান্ডা করে।
৭. বিকেলের পরিবর্তে সকালে ব্যায়াম করুন।
৮. গোসলে অবশ্যই স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি ব্যবহার করুন। অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি আপনার শরীরে তাৎক্ষণিক পরিবর্তনের মাধ্যমে ক্ষতি করতে পারে।
৯. দিনের বেলায় ঘরের জানালা ও পর্দা বন্ধ রাখুন।
১০. সকল ধরণের ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস বন্ধ রাখার চেষ্টা করুন। এগুলোর সকেটও বন্ধ রাখুন।
১১. পায়ের পাতা ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করুন।
১২. ফ্যানের সামনে একটি পাত্রে বরফ রেখে বাতাসকে ঠান্ডা করতে পারেন।
১৩. দিনের বেলায় নিয়মিত পানি পান করুন, তবে রাতে বেশি নয়।
১৪. সম্ভব হলে এক বিছানায় একা ঘুমান। একাধিক শরীর মানে অধিক গরম। তাছাড়া একা ঘুমালে হাত-পা ছড়িয়ে ঘুমাতে পারবেন।
১৫. অত্যাধিক গরম লাগলে মেঝেতে ঘুমাতে পারেন।
১৬. ঘুমাতে যাওয়ার আগে ভালোভাবে হাত, মুখ ও পা ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে নিন।
১৭. ঘুমানোর আগে সম্ভব হলে গোসল করে নিন।
১৮. মেনথল পাউডার ব্যবহার করুন।
১৯. পোর্টেবল ফ্যান থাকলে জানালার পাশে রেখে ব্যবহার করুন। এতে বাইরের ঠান্ডা বাতাস ভিতরে আসবে।
২০. প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে ঘরের মেঝে পানি দিয়ে মুছে নিন।