তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রযাত্রার এই যুগে ইন্টারনেটকে অস্বীকার করার উপায় নেই। ইউনিসেফের তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী ১৮ বছর এর নিচে প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন ইন্টারনেট ব্যবহার করে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেকাংশে পিছিয়ে। বাংলাদেশের মাত্র এক শতাংশ স্কুলগামী শিক্ষার্থী ইন্টারনেট ব্যবহার করে। এ কারণে আমাদের শিশুরা বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় ইন্টারনেটের সুফল পাওয়ার ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকছে। মূলত ইন্টারনেট সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা, ইন্টারনেট নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতনতা না থাকা এর মূল কারণ।
সব ভালোর মতো, ইন্টারনেটের ভালো দিকের পাশাপাশি কিছু খারাপ দিক আছে। ইন্টারনেটের নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতন না থাকায় অনেকেই এর খারাপ দিক তথা সাইবার অপরাধের শিকার হন। তবে এ বিষয়ে সচেতনতা থাকলে ও কিছু বিষয় মেনে চললে এসব অপরাধ থেকে নিজেকে, সন্তানকে রক্ষা করতে পারেন। আর এই সচেতনতা তৈরিতে গ্রামীণফোন, টেলিনর ও ইউনিসেফের যৌথ আয়োজনে ‘নিরাপদ ইন্টারনেট’ বিষয়ক ক্যাম্পেইন বাস্তবায়ন করছে চ্যাম্পসটোয়েন্টিওয়ান ডটকম। এরই অংশ হিসেবে সোমবার (৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮) রাজধানীর সেন্ট জোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিরাপদ ইন্টারনেট বিষয়ক ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সেশনে প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থীকে কীভাবে নিরাপদে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায় সে বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। ইন্টারনেটকে কীভাবে পড়ালেখা, যোগাযোগসহ দৈনন্দিন বিভিন্ন প্রয়োজনে ব্যবহার করা যায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কী করা উচিত ও কী করা উচিত নয়, কীভাবে নিজের অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখা যায়, সাইবার বুলিং থেকে রক্ষা ও সাইবার বুলিংয়ের শিকার হলে কী করণীয় এসব বিষয়ে বিষদভাবে আলোচনা করা হয়। এ বিষয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের করণীয় ও বর্জণীয় বিষয় নিয়ে আলাদা লিফলেটও বিতরণ করা হয়।
পাশাপাশি অনলাইন নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিষয়গুলো সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন থাকলে কিংবা সাইবার অপরাধের শিকার হলে ‘নিরাপদ ইন্টারনেট’ ক্যাম্পেইনের হেল্পলাইন নাম্বার ১০৯৮ এ কল করার বিষয়েও শিশুদেরকে অবহিত করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সেন্ট জোসেফ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ব্রাদার রবি পিউরিফিকেশন, সহকারি শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান ও আবদুল্লাহ আল মামুন, গ্রামীণফোনের কর্পোরেট রেসপনসিবিলিটি বিশেষজ্ঞ এম হাফিজুর রহমান খান, ইউনিফেস বাংলাদেশের চাইন্ড প্রোটেকশন বিশেষজ্ঞ শাবনাজ জাহেরিন প্রমুখ।