ঢাকার হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার সময় ফারাজ হোসেনের সাহসিকতাকে চিরভাস্বর করে রাখতে পেপসিকো গ্লোবাল ‘ফারাজ হোসেন সাহসিকতা পুরস্কার ২০১৯’-এর জন্য সাহসী হৃদয়ের সন্ধান করছে। এই পুরস্কারের জন্য আবেদনপত্র জমা দেয়া যাবে আগামী ৩১ অক্টোবর ২০১৯ পর্যন্ত।
ঢাকার হোলি আর্টিজান বেকারিতে ২০১৬ সালের ১ জুলাই ভয়ানক হামলার ঘটনায় নিহত হন ফারাজ আইয়াজ হোসেন। জঙ্গি হামলার সময় নিজেকে রক্ষার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দুই বন্ধুকে ছেড়ে আসতে অস্বীকৃতি জানানোয় সন্ত্রাসীদের হাতে প্রাণ হারান ফারাজ। পুরো বিশ্ব অবলোকন করেছিল ২০ বছর বয়সী ফারাজ আইয়াজ হোসেনের অদম্য সাহসিকতা এবং মানবিকতা, যা বিশ্বব্যাপী ব্যাপক প্রশংশিত হয়েছে। ফারাজের এই আত্মোৎসর্গ এবং সাহসিকতার নিদর্শনস্বরূপ ২০১৬ সালে চালু হয় ফারাজ হোসেন সাহসিকতা পুরস্কার।
সঙ্গী বা সহকর্মীর প্রতি সহমর্মিতার দৃষ্টান্ত স্থাপন এবং বাংলাদেশের যুব সমাজে সাহসিকতার স্বীকৃতি প্রদান করাই এই পুরস্কারের মূল লক্ষ্য। বিজয়ীদের স্বীকৃতি সনদ এবং একটি স্মারক প্রদানের পাশাপাশি দেয়া হবে ১০ হাজার মার্কিন ডলার।
বাংলাদেশের সেই সাহসী সন্তান এই পুরস্কার অর্জন করতে পারবেন যিনি অসাধারণ ব্যক্তিগত সাহসিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপনে পারদর্শী, অন্যদের সাহায্য করতে উদ্যোগী, সর্বোচ্চ নৈতিক মূল্যবোধের প্রতীক এবং বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব ৩৫ বছরের কোনো পুরুষ কিংবা নারী।
উল্লেখ্য, মো. মিরাজ সরদারকে প্রথমবারের মতো ‘ফারাজ হোসেন সাহসিকতা পুরস্কার ২০১৬’ প্রদান করা হয়। মাদারীপুরের কলেজ শিক্ষকের উপর হামলাকারী একজনকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন মিরাজ। এছাড়াও ২০১৭ সালে ছিনতাইকারীকে ধরতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে নিহত খন্দকার আবু তালহাকে ঐ বছরের জন্য ‘ফারাজ হোসেন সাহসিকতা পুরস্কার’ প্রদান করা হয়েছিল।
সাধারণের কাছে এই পুরস্কারের যোগ্য তরুণ-তরুণী খুঁজতে সহযোগিতা চেয়েছে সংস্থাটি। কারও কাছে এমন কোনো তরুণ কিংবা তরুণীর সন্ধান জানা থাকলে তা courageaward@faraazhossain.com অথবা +৮৮০১৭০৪১৬৬৭৭০ এবং +৮৮০১৩১৩৪৯৪৩০৯ নম্বরে (সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা) যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত বিচারকমন্ডলী সকল প্রস্তাবিতদের মধ্য থেকে একজনকে বিজয়ী ঘোষণা করবেন, আর তিনিই পাবেন ২০১৯ সালের ফারাজ হোসেন সাহসিকতা পুরস্কার।