নানা বাধা বিপত্তি পেরিয়ে অবশেষে মহাকাশে বাংলাদেশের প্রথম কৃত্তিম উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শুক্রবার ৪টা ১৪ মিনিট (বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ২টা ১৪ মিনিট) ফ্লোরিডার অরল্যান্ডোর কেপ কেনেভেরালের কেনেডি সেন্টারের লঞ্চিং প্যাড থেকে মহাকাশের পথে উড়াল দেয় স্যাটেলাইটটি।
এর ফলে ৫৭তম দেশ হিসেবে নিজস্ব স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স-এর ফ্যালকন-৯ ব্লক-৫ রকেটের চেপে আকাশে উড়াল দেয় সাড়ে তিন হাজার কেজি ওজনের এই স্যাটেলাইট।
বাংলাদেশের ভাড়া নেওয়া অরবিটাল স্লট ১১৯.৯ ডিগ্রিতে প্রতিস্থাপিত হয়েছে স্যাটেলাইটটি। ইতিমধ্যেই সংকেত পাঠানো শুরু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগস্ট মাসের মাঝামাঝি থেকে স্যাটেলাইটের বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হবে।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এ ২৬টি কু-ব্যান্ড ট্রান্সপন্ডার ও ১৪টি সি-ব্যান্ড ট্রান্সপন্ডার রয়েছে। এটি সক্রিয় হলে দেশের টেলিভিশন ও ব্রডব্যান্ড যোগাযোগে উন্নতি ঘটবে।
স্যাটেলাইটটি নির্মাণ করেছে ফ্রান্সের থ্যালাস অ্যালেনিয়া নামের একটি প্রতিষ্ঠান। স্যাটেলাইটের কাঠামো তৈরি, উৎক্ষেপণ, ভূমি ও মহাকাশের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, ভূ-স্তরে দুটি স্টেশন পরিচালনার দায়িত্ব এ প্রতিষ্ঠানটির। এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৯৬৭ কোটি টাকা। স্যাটেলাইটে থাকছে ৪০টি ট্রান্সপন্ডার। এগুলোর মধ্যে প্রাথমিকভাবে ২০টি ব্যবহার করবে বাংলাদেশ। অন্যগুলো ভাড়া দেওয়া হবে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর গ্রাউন্ড স্টেশন তৈরি করা হয়েছে গাজীপুর ও রাঙ্গামাটিতে।
চলুন দেখে নিই স্পেসএক্স কর্তৃক প্রকাশিত বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের ভিডিওটি।