ফাইবার এমন একটি খাদ্য উপাদান, যা দেহের নানা কাজ সুষ্ঠুভাবে করতে সাহায্য করে। এটি সঠিক মাত্রায় না পেলে আপনার দেহ অবশ্যই জানান দেবে। এখন নিশ্চয়ই আপনার মনে প্রশ্ন জাগছে যে জানবো কীভাবে? কোন কোন শারীরিক লক্ষণ দেখা দিলে বুঝবেন দেহের ফাইবার দরকার? জেনে নিন ‘এই সময়’ এর সৌজন্যে।
লক্ষণ ১- কোষ্ঠকাঠিন্য
দেহে ফাইবারের অভাব হয়েছে কিনা দেহ তা জানান দেয় মূলত কোষ্ঠকাঠিন্যের মাধ্যমে। এই সমস্যা থাকলে বেশি করে ফাইবার সমৃদ্ধ খাদ্য (অ্যাভোকাডো, ব্রকোলি, কড়াইশুঁটি, কালো জাম, পেয়ারা, নানা রকমের শাক ইত্যাদি) খাওয়ার চেষ্টা করুন। দেখবেন কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমে যাবে। তবে নিয়মিত এই সব খাবার খাওয়ার অভ্যাস বজায় রাখতে হবে৷
লক্ষণ ২- ওজন বৃদ্ধি
খাদ্য তালিকায় সঠিক পরিমাণে ফাইবার না থাকলে ওজন বেড়ে যেতে পারে। আসলে ফাইবারসমৃদ্ধ খাদ্য সঠিক পরিমাণে খেলে পেট ভর্তি রয়েছে মনে হয়। কিন্তু ফাইবারসমৃদ্ধ খাদ্য পরিমাণমত না খেলে সবসময়ই খিদে পেতে থাকে। সেক্ষেত্রে আপনি অনেকসময় নিজের অজান্তেই বাড়তি খাবার খেয়ে ফেলেন। ফলে ওজন বেড়ে যায়।
লক্ষণ ৩- রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি
আপনার ডায়াবিটিস রয়েছে? অর্থাৎ আপনি চেষ্টা করেন নিজের রক্ত শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে। সেক্ষেত্রে আপনার তো ডায়েটে উপযুক্ত পরিমাণে ফাইবার আবশ্যক। আসলে ফাইবার শর্করাকে রক্তকোষে খুব দ্রুত মিশতে দেয় না। ফলে রক্ত শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকে। সেই কারণেই হঠাৎ করে রক্তে শর্করা বেড়ে গেলে জানবেন শরীর আপনাকে বোঝাতে চাইছে যে ফাইবার দরকার৷
লক্ষণ ৪- খাওয়ার পরে ঘুম পাওয়া
প্রচুর পরিমাণে খাওয়াদাওয়া করলে ঘুম পাওয়া স্বাভাবিক। তবে নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে খাওয়াদাওয়া করলেও যদি নিয়মিত ঘুম পায় তাহলে এটি ফাইবারের অভাবের লক্ষণ। আগেই বলেছি সঠিক পরিমাণে ফাইবার গ্রহণ না করলে রক্ত শর্করার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। সেই কারণেই খাওয়ার পরে আপনি ক্লান্তি অনুভব করছেন। ফলে নিজেকে রিচার্জ করার জন্য ঘুম আবশ্যক হয়ে পড়ছে।
লক্ষণ ৫- ব্লটিং
উপযুক্ত ফাইবার গ্রহণ না করলে ব্লটিংয়ের সমস্যা হতে পারে। আসলে ফাইবার হজমের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। আর ফাইবারসমৃদ্ধ খাদ্য না খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হয়।