সবাই তো সুখী হতে চায়। যদিও সুখের সংজ্ঞা একেক জনের কাছে একেক রকম। তবে সমীক্ষায় দেখা গেছে, যারা সত্যিকার অর্থে সুখী, তারা নীচের এই পাঁচটি গুণের অধিকারী। দেখে নিন সেগুলো কী কী।
ক্ষমা করার মানসিকতা
রাগ, দুঃখ, অভিমান, ঘৃণা – ভুলে যান। কেউ আপনাকে কখনো কোনো কষ্ট বা দুঃখ দিয়ে থাকলে তাকে ক্ষমা করে দিন। শেষ পর্যন্ত যে এতে নিজেরই ভালো হবে, ‘শান্তি’ পাবেন মনে।
বিশ্বাস রাখুন
নিজের যোগ্যতা এবং ভাগ্যের ওপর বিশ্বাস রাখুন। কারণ আত্মবিশ্বাস ছাড়া সুখকে কাছে পাওয়া সম্ভব নয়। এর সঙ্গে আপনাকে অবশ্যই আশাবাদী হতে হবে। আশাই যে মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে! ‘আমার দ্বারা হবে না, পারবো না, আশা করে কী লাভ?’ – এ ধরনের নেতিবাচক চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে হবে।
কৃতজ্ঞতা বোধ
জীবনে যা পেয়েছেন কিংবা যা পাননি, তা মেনে নিন। সাফল্য আসবেই ভেবে নিয়ে নতুন কিছু করাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিন। সুখ এবং দুঃখ জীবনেরই অঙ্গ। তাই কষ্ট পেলে ভেঙে পড়বেন না। দুঃখকে মোকাবেলা করতে হবে। তাছাড়া ‘দুঃখ’ কী তা না জানলে আসল সুখের মূল্য বুঝতে পারবেন কি?
কৌতুহল
নতুন মানুষের সাথে বন্ধুত্ব করায় আগ্রহী হতে হবে। জীবনের একঘেয়েমি দূর করতে চাই নতুন অভিজ্ঞতা। আর এর মধ্য দিয়েই খুঁজে বের করা যাবে বা বোঝা যাবে কে কী চায়!
নিজেকে ভালোবাসুন
নিজে কী করছেন, কী করতে পারেন বা কতটুকু করতে ভলো লাগে, সবকিছু নিয়েই ইতিবাচক চিন্তা করুন। নিজে থেকে আশা ছেড়ে দেয়া মানে ইচ্ছে করে ভাগ্যকে ‘না’ করা বা মেনে না নেয়া। যে মানুষটি শুধু নিজের যোগ্যতাকে মূল্যায়ন করে, সে-ই কেবল নিজেকে ভালো বাসতে পারে এবং অন্যকেও ভালোবাসা দিতে পারে।
অভিজ্ঞতা
জার্মান এক জ্যোতিষী তাঁর বিশাল অভিজ্ঞতার ঝুলি থেকে এ সব তথ্য জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, সুখী হওয়ার মূলমন্ত্রই হচ্ছে, বাস্তবকে মেনে নিয়ে সামনের দিকে চলা। যে সব মানুষ ‘ইতিবাচক’ চিন্তা করেন, তাঁরাই জীবনে সত্যিকারের সুখী ও সফল হয়েছেন!
লেখাটি ডয়চে ভেলে থেকে সংগৃহীত